ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ার জেরে পারভেজ খুন

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ২৭ অক্টোবর ২০২১

পরকীয়ার জেরে পারভেজ খুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীর প্রেমিক আনোয়ার পারভেজকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সাভারের জিরানী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বুধবার ঢাকার সিআইডির এ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর এসব তথ্য জানান। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, বিয়ের পর আমিনুল ইসলাম ও মমতাজ বেগম প্রায় ৮ বছর ধরে রংপুরের পীরগঞ্জ থানাধীন সোনাকান্দর এলাকার নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের একটি সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। মমতাজের স্বামী আমিনুল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অধীনে গাছ কাটা ও অটোরিক্সা চালানোর কাজ করতেন। এর ফলে সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত তাকে বাড়ির বাইরে অবস্থান করতে হতো। এই সুযোগে পীরগঞ্জ সরকারি হাইস্কুলের মার্কেটের ইলেকট্রনিক্স দোকানি আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে মমতাজ বেগমের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুক্তা ধর জানান, এর ধারাবাহিকতায় গত ২ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে আনোয়ার পারভেজ দোকান বন্ধ করে আমিনুলের বাড়িতে যান। এ সময় আমিনুল বাসায় ফিরলে তার স্ত্রীর সঙ্গে পারভেজকে দেখে রেগে যান এবং খারাপ ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে আনোয়ার পারভেজকে মাথায় আঘাত করেন আমিনুল। এতে গুরুতর আহত হন পারভেজ। পারভেজকে রক্ষার্থে আমিনুলের স্ত্রী মমতাজ বেগম এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন আমিনুল। পরে আশপাশের লোকজন তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আনোয়ার পারভেজকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আনোয়ার পারভেজের মৃত্যু হয়। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, ওই ঘটনায় নিহত আনোয়ার পারভেজের মা বাদী হয়ে আমিনুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করে। পরে সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে পুলিশের একটি টিম সাভারের জিরানী এলাকা থেকে আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলেও জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
×