ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফে মাদক কারবারিদের হামলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১০ নারী-পুরুষ আহত

প্রকাশিত: ১০:৩১, ২৫ অক্টোবর ২০২১

টেকনাফে মাদক কারবারিদের হামলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১০ নারী-পুরুষ আহত

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার/সংবাদদাতা, টেকনাফ ॥ টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে উপজাতি তরুণীকে উত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও মাদক কারবারিরা বৌদ্ধবিহারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নারী-পুরুষ। রবিবার সন্ধ্যায় হোয়াইক্যং কাটাখালী অরণ্য বৌদ্ধ বিহারে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজনের অভিযোগ, এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল সম্রাট, ততার সহোদর ইয়াবাডন ককায়সারসহ ২০ জন। আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হোয়াইক্যং কাটাখালী চাকমাপল্লিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তরুণীকে ইভটিজিং করা নিয়ে বিচারে বসে বিতর্কিত ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল সম্রাট ও তার ভাই ইয়াবা গডফাদার কায়সার। এ সময় নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও মাদক কারবারিরা। পরে তাদের মারধর ও অরণ্য বৌদ্ধবিহারে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অরণ্য বৌদ্ধবিহারের কর্মকর্তা অন্তর চাকমা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল ও তার ভাই কায়সার সালিশের কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে আমাদের বিহারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তাদের সঙ্গে প্রায় ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী ও মাদক ককারবারি হামলা চালিয়ে আমাদের ১০ নারী-পুরুষকে আহত করেছে। হামলার বিষয় স্বীকার করে ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল সম্রাট বলেন, সালিশে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উপজাতিদের মারধর করা হয়েছে। তবে বিহারে অগ্নিসংযোগের বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন এ ছাত্রলীগ নেতা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষকে মারধর করা হয়েছে। বাকিটা আমি অবগত নই। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী বলেন, মূলত ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেটা বৌদ্ধবিহারের একটি অংশ। তবে কারা অগ্নিসংযোগ করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না বলেন, হোয়াইক্যংয়ে তোফায়েল নামে কোন ছাত্রলীগ কর্মীকে আমি চিনি না। সে যে কমিটির ওয়ার্ড সভাপতি দাবি করছে সেটি অবৈধ। প্রায় দু বছর আগে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক সেই কমিটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এছাড়া তোফায়েলসহ যাদের নাম এসেছে, তারা ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে দাবি করেন তিনি।
×