ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটে সংখ্যালঘুর বাড়িতে আগুন, আতঙ্ক

প্রকাশিত: ২২:২৭, ২৩ অক্টোবর ২০২১

লালমনিরহাটে সংখ্যালঘুর বাড়িতে আগুন, আতঙ্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের পাগলার বাজার সংলগ্ন নবীন চন্দ্র রায়ের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা অন্ধকারে পরিকল্পিতভাবে রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে। এই সময় এ পরিবারের সকলে বাড়ির অদূরে মন্দিরে পূজা ও ধর্মীয় সাপ্তাহিক কীর্তন শুনতে গিয়েছিল। এই ঘটনার পর সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, নওদাবাস ইউনিয়নটি সীমান্তবর্তী হিন্দুধর্ম অধ্যুষিত গ্রাম। কে কেন কোন উদ্দেশ্যে এই দরিদ্র পরিবারটির রান্না ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে পরিবারটি বোধগম্য নয়। মন্দিরে কীর্তন শোনাবস্থায় খবর পায় বাড়িতে আগুন লেগেছে। দ্রুত এসে দেখে সব কিছু পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। অগ্নিকা-ের ধরন দেখে ধারণা করছে কোন দুষ্কৃতকারী চক্র এই কাজ করেছে। এই উপজেলায় জামায়াত-শিবিরের ও উগ্রমৌলবাদী গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য রয়েছে। বিগত জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের আমলে সাবেক চেয়ারম্যান পল্লী চিকিৎসক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হকের জমজ দুই ভাতিজিকে চিঠি দিয়ে অপহরণের ঘোষণা দিয়েছিল। সেই সময় বিষয়টি থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ ছিল। এছাড়াও ২০১৩ ও ১৪ সালে বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও উগ্রমৌলবাদী গোষ্ঠী ব্যাপক তা-ব চালায়। এই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ’৭১ সালের মতো পৈশাচিক কায়দায় জ্বালিয়ে দেয়া হয়। মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায়রত আওয়ামী লীগ কর্মীকে নামাজ পড়ারত মসজিদ হতে টেনে হিঁচড়ে বের করে জবাই করে হত্যা করা হয় ও মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেয়া হয়। হিন্দুদের বাড়ি ঘর ও মন্দির ভেঙ্গে দিয়ে ব্যাপক তা-ব চালায়। সেই সময় বর্তমান সরকারের এমপি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। তিনি মঞ্চে উঠে বক্তব্য শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে মঞ্চে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সমাবেশে আসা জনতার প্রায় দুই শ’টি মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ভ্যান জ্বালিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে সারাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে আগুন সন্ত্রাস করছে। তাই গ্রামটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
×