ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ফসল’

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ১৮ অক্টোবর ২০২১

‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ফসল’

অনলাইন ডেস্ক ॥ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ফসল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের আড়ালের পরাশক্তি ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের খুঁজে বের করার সময় এসেছে। আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ফসল ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের বিচার কিন্তু হয়নি। ক্ষুদ্র একটা অংশের বিচার হয়েছে, আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা কারা, খুনি মোশতাক, খুনি জিয়াসহ এই দেশের দোসর যারা ছিলেন, আন্তর্জাতিক দোসর যারা ছিলেন তাদের বিচার হয়নি। তিনি বলেন, সেদিন (১৫ আগস্ট) আমেরিকার দূতাবাস সারারাত খোলা ছিল, পাকিস্তানের দূতাবাস খোলা ছিল। সেই রহস্য আজও কিন্তু উন্মোচিত হয়নি। আমি মনে করি সময় এসেছে, সরকারকে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। ১৫ আগস্ট হত্যার আড়ালে কোন পরাশক্তি ছিল এবং তাদের এ দেশীয় দোসর কারা ছিল। প্রকৃত খুনিদের কমিশনের মাধ্যমে খুঁজে বের করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যার সঙ্গে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের পার্থক্য হলো সব জায়গায় শুধু মূল ব্যক্তিকে হত্যা করেছে, এখানে ব্যতিক্রম হচ্ছে রক্তের ছিঁটেফোঁটাও কিছু রাখেনি। এটি রাজনৈতিক কিংবা পারিবারিক হত্যা ছিল না, এটি ছিল একটি আদর্শকে হত্যা করার প্রচেষ্টা। ১০ বছরের শিশু রাসেলের সঙ্গে তো কারো প্রতিযোগিতা, প্রতিহিংসা থাকার কথা নয়। মোজাম্মেল হক বলেন, প্রতিভাময় শিশুটি (শেখ রাসেল) ঝরে না পড়লে আজ তার ৫৮ বছর পূর্ণ হতো। দেশকে-জাতিকে দেওয়ার এটাই হতো সেরা সময়। সবদিক থেকে পরিপক্কতা আসতো। জাতি তার সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সে আমাদের মধ্যে বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে।’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শেখ রাসেলের জন্মদিনের কেক কাটেন। শেখ রাসেলকে নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্রও দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেলসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×