আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
ভারতে তখন ইংরেজদের দাপট। সেই সময়ে প্রথম হাতে ছুঁয়ে ফুটবল দেখেছিলেন নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী। বড় হয়ে সেই বিদেশী খেলাকে দেশী মোড়কে সাজিয়েছেন। নতুন করে পরিবেশন করেছেন বাঙালীর কাছে। তাই ভারতীয় ফুটবলের জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ। মাঠে ইংরেজদের হারাতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। শপথ ছিল ‘মরে যাব কিন্তু হেরে ফিরব না’। পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ভারতবর্ষের মাটিতে দাঁড়িয়ে এক স্বপ্নের ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সহজ ছিল না সেই লড়াই। এবারের পুজোয় বড় পর্দায় ফুটে উঠবে সেই ১৮৭৯’র কলকাতা। যেখানে দেখা যাবে দেবের পায়ে ফুটবল। ড্রিবল করে প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে বলে শট দিতেই অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ! পরক্ষণেই হাতে মশাল নিয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছেন দেশপ্রেমে। নিজেও প্রেম করেছেন নায়িকার সঙ্গে। কে না জানে, দেশপ্রেম, ফুটবল আর রোমান্সের গন্ধ পেলেই বাঙালী চনমনিয়ে ওঠে! সেই সব উপাদান নিয়েই চলতি বছরের পুজোয় সিনে-ময়দান জয় করতে আসছেন নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী। একইভাবে, বিনাযুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি না ছাড়ার মনোভাব নিয়েই এবারের শারদ অর্ঘ্য সাজিয়েছেন পরিচালক ধ্রæব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রযোজক শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস তাদের আসন্ন ছবি ‘গোলন্দাজ’-এ।
পুজোয় তাদের অঞ্জলি এক ঝাঁক তারকা অভিনেতা। যারা নিজেদের দক্ষতায় ফুটবলের জনককে আগাগোড়া আগলিয়েছেন। এরপরেও কি গোল মিস করবেন দেব ওরফে নগেন্দ্রপ্রসাদ ? বিশ্বকর্মা পুজোর দিন মুক্তি পাওয়া ছবির ট্রেলার বলছে, তেমন কোনও সম্ভাবনাই নেই। পাশাপাশি এও বলছে, দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর এসভিএফ সংস্থা আর সাংসদ-অভিনেতার গাঁটছড়া সত্যিই দেখার মতো। সৌজন্যে ছবির অভিনব বিষয়, চোখ ধাঁধানো প্রচার ভাবনা এবং ঝাঁ চকচকে ট্রেলার। ২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের সেই ট্রেলারটি মুক্তির পর থেকেই আলোচনায়! নেট মাধ্যমের কল্যাণে ছবির গল্প মোটামুটি সবার জানা। ইংরেজ শাসকের সঙ্গে সঙ্ঘাতেও যেতে হয়েছিল যার জন্য। এবং শেষ পর্যন্ত জয় বাঙালীর জেদের, সাহসিকতার, স্বদেশ প্রেম আর ফুটবলের। ট্রেলার বলছে, সুযোগ পেতেই আরও একবার নিজেকে ভেঙ্গেচুরে নতুন করে গড়েছেন দেব। ওজন বাড়িয়ে, গোঁফ রেখে চলনে-বলনে জীবন্ত ফুটবলের জনক তিনি। নিজেকে নিখুঁত খেলোয়াড় করে তুলতে দেব প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ফুটবল তারকা ভাইচুং ভুটিয়ার কাছে।
তার এই বিশেষ রূপ সবদিক থেকে ঢাল হয়ে রক্ষা করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ইশা সাহা, জন ভট্টাচার্য এবং আরও অনেকে। ছোট নগেন্দ্রপ্রসাদের ভ‚মিকায় অভিনয় করেছে ‘নেতাজি’ ধারাবাহিক খ্যাত অঙ্কিত মজুমদার। ‘ভেড়ার পালে কখনও সিংহ জন্মায় না’-র মতো সংলাপের পাশাপাশি চোখে লেগে থাকে দেব-ইশার রোমান্স। বিশাল দেহের পুরুষের পাশে ইশা যেন সত্যিই কমলকলি। নগেন্দ্রপ্রসাদের ভালবাসায়, আশ্লেষে যিনি ভেঙ্গে চুরমার। কিন্তু দেশপ্রেমের ক্ষেত্রে পর্দার স্বামীর মতোই মাথা নোয়াননি কখনও।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: