ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভিনগ্রহ থেকে এসেছে পেঙ্গুইন

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

ভিনগ্রহ থেকে এসেছে পেঙ্গুইন

হিমজগতের পাখিদের মধ্যে পেঙ্গুইন অন্যতম। উড়তে না জানলেও আদিকাল থেকেই পেঙ্গুইনরা পাখির খেতাব পেয়ে আসছে। আর এবার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই পাখি সম্ভবত ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসেছে। মূলত পেঙ্গুইনের মলে পৃথিবীর বাইরের গ্রহের রাসায়নিকের উপস্থিতি দেখার পরই এমন ধারণা হয়েছে বিজ্ঞানীদের। তাদের মতে, পেঙ্গুইন এলিয়েন অর্থাৎ ভিনগ্রহের প্রাণী হয়ে থাকতে পারে। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষকরা তাদের গবেষণায় পেঙ্গুইনের মলে ফসফিন গ্যাস শনাক্ত করেছেন। আর এই গ্যাসের অস্তিত্ব নাসার বিজ্ঞানীরা শুক্র গ্রহে আবিষ্কার করেছেন। শুক্র গ্রহ থেকে ৩৪ মিলিয়ন মাইল দূরে পৃথিবীতে ফসফিন কিভাবে এলো, তা বুঝে উঠতে পারছেন না গবেষকরা। ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে থাকা জেন্টু পেঙ্গুইন কিভাবে এই রাসায়নিক উৎপাদন করে তা জানতেই এ পেঙ্গুইনের জীবনধারা অধ্যয়নের পরিকল্পনা করেন গবেষকরা। গবেষণা প্রকল্পটির অন্যতম গবেষক ড. ডেভ ক্লিমেন্টস বলেন, ‘পেঙ্গুইনের মলে ফসফিন রয়েছে তা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। কিন্তু আমরা জানি না, এটি কিভাবে তৈরি হচ্ছে।’ তার মতে, ‘কিছু অবায়ুজীবী ব্যাকটেরিয়া আছে যা ফসফিন তৈরি করে। পুকুরের স্মাইম, ব্যাজারের মল এবং পেঙ্গুইনের মলে ফসফিন পাওয়া যায়। এটি প্রতিরক্ষা বা প্রতিযোগিতামূলক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উৎপন্ন হয়ে থাকতে পারে।’ গত বছর শুক্র গ্রহের চারপাশে গ্যাসের স্তরে ফসফিনের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। নাসা জানিয়েছে, আগামী ১৮ ডিসেম্বর মহাকাশে সর্বাধুনিক জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ উৎক্ষেপণ করা হবে, যা অন্যান্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব শনাক্ত করতে পারবে। যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এলিয়েন লাইফফর্মগুলো ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে এবং পেঙ্গুইনের ওপর গবেষণা অন্যান্য গ্রহে বিদ্যমান জীবের ধরনগুলো শনাক্ত করতে সহায়তা করতে পারে। -নাসা
×