ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালের বর্ধিত এলাকায় মশার উপদ্রব

প্রকাশিত: ১০:৪১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

বরিশালের বর্ধিত এলাকায় মশার উপদ্রব

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মশার উপদ্রব থাকলেও ঢাকা ফেরত ব্যতিত বরিশাল নগরীতে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে নগরীর বর্ধিত এলাকাসহ মূল শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকার খালগুলোতে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থাকায় এবং জঙ্গল হয়ে পানি আটকে যাওয়ায় সেখানে মশার উপদ্রব রয়েই গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দাবি, প্রাকৃতিক অবস্থান, আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতার কারণে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু ও পীতজ্বরের মতো মারাত্মক দুটি রোগের বাহক এডিস মশার উপদ্রব তেমন একটা নেই। তবে এ কারণে অবহেলা করলে দেখা দিতে পারে ভয়াবহতা। তাই ডেঙ্গু জ্বররোধে সবার স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। তারা আরও বলেন, বিশেষ করে টবসহ বিভিন্নস্থানে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা পানি অপসারণ ও যার যার নিজ বাড়ির আঙ্গিনাসহ আশেপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। আর সরকারী সংস্থার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও সবার এগিয়ে আসা উচিত। কারণ সমন্বিত উদ্যোগই ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে। সচেতন নগরবাসী বলছেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ ঝুঁকির এই সময়টাতে গত বছর বা তার আগের বছরগুলোতে ব্যাপক প্রচারণা এবং প্রশাসনিক তৎপরতা দেখা গেছে। এবারে তুলনামূলকভাবে অতীত বছরগুলো সেই দৃশ্যের দেখা মেলেনি। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের প্রধান ডাঃ রবিউল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে গোটা শহরকে নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি মশার বংশবিস্তাররোধে তরল স্প্রে ও ফগার মেশিনের মাধ্যমে নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে। এমনকি সস্প্রতি চালু হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোসহ বাসাবাড়ির আশপাশে মশক নিধনে স্প্রে করা হয়েছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জনকণ্ঠকে বলেন, সরকারী সংস্থারগুলোর পাশাপাশি মশার বংশবিস্তাররোধে ব্যক্তি পর্যায় থেকেও সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি যে অবস্থানেই থাকি না কেন, নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অপরকে সচেতন করতে হবে। নিজের বাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিস্কার রাখায় উদ্যোগী হতে হবে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাস গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে অনেকটাই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নিজস্ব জনবল থাকা সত্বেও ইন্টার্ন ডক্টরস হোস্টেলের আশপাশের নিচু জমিতে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে রয়েছে। বড় বড় আগাছায় ওইসব এলাকা জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।
×