ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এনাম আনন্দ

চ্যালেঞ্জের মুখে পাঠদান

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

চ্যালেঞ্জের মুখে পাঠদান

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য আনন্দের সংবাদ হচ্ছে- প্রায় দেড় বছর পর খুলতে যাচ্ছে স্কুল এবং কলেজ। সরকারী নির্দেশনা পাওয়ার পর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পাঠদানে উপযোগী করে তোলা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুল-কলেজ খোলায় এক ধরনের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবারও মুখরিত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে প্রাণহীন হয়ে পড়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। অন্যদিকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি হলেও করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস পরিচালনা ও পাঠদান অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও করোনা ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী টিকা নিয়েছেন। তারপরও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দশ শতাংশের নিচে নেমে আসতে সময় লেগেছে। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়বে। সাধারণত শিশুরা স্বাস্থ্যবিধি মানতেই চায় না। একটি শিশুকে যদি বলা হয় তোমার বন্ধুর কাছ থেকে দূরত্ব বাজায় রেখে চলবে, সে কতটুকু মানবে সেটি বড়ই ভাবনার বিষয়। শিশুরা তাদের স্বভাব সুলভ কাজটিই করতে চায়। তাদের কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাবে বা শেখানো যাবে ভেবে বড় দুশ্চিন্তা হয়। গ্রামের স্কুলগুলোর অবস্থা আমাদের প্রত্যেকেরই জানা আছে। যেখানে প্রাথমিকে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ হলেও মাত্র ৬৭ শতাংশ বা তার চেয়ে কম হারে শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের যোগ্যতা অর্জন করে। আর উচ্চ শিক্ষায় পৌঁছায় মাত্র ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা শিশুদের পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা ভেবে দেখার প্রয়োজন। এক শিশু থেকে অন্য শিশু হয়ে ভাইরাসটি তাদের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। যদিও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিতসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস পরিচালনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর এসব কাজের মনিটরিং করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শিক্ষা অধিদফতর থেকে স্কল-কলেজগুলো খোলার প্রস্তুতি হিসেবে ১৯ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আমাদের মনে রাখা উচিত, যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার পর করোনায় আক্রান্তের মাত্রা কিন্তু বেড়ে গিয়ে ছিল। আশাকরি, যথাযথ কর্তৃপক্ষ অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তবে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের সচেতনতায় এ পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব। হোমনা, কুমিল্লা থেকে
×