ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

প্রকাশিত: ১৭:১১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ খাগড়াছড়িতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার অনুষ্ঠানে বর্জন করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাকিদরা। অনুষ্ঠান চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়িতে নবনির্মিত শিশু একাডেমির ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন এবং বাইরে এসে প্রতিবাদ করেন। বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জহুরুল আলম, সাধারণ সম্পাক আবু তাহের মুহাম্মদ। উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক চিংমে প্রু মারমা, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কানন আচার্য্যসহ জেলায় কর্মরত অন্যান্য সাংবাদিকরা। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও সেখানে সাংবাদিকদের বসার জন্য কোনো আসন রাখা হয়নি। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো সুরাহা হয়নি। এক পর্যায়ে মন্ত্রীর গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর এসে প্রথম সারির আসনে সাংবাদিকদের বসান। কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাকিল সাংবাদিকদের আসন ছেড়ে দিতে বলেন, যা সাংবাদিকদের জন্য অবমাননাকর। খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জহুরুল আলম বলেন, অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের আসন কোথায় জানতে চাইলে ওই ম্যাজিস্ট্রেট তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলেন। এভাবে উঠে যেতে বলা আমাদের জন্য অবমাননাকর। অনুষ্ঠান চলাকালে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণে উপস্থিতি সাংবাদিকরা বিব্রত হন এবং প্রতিবাদে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ বলেন, এ ঘটনার দায় জেলা প্রশাসক কোনোভাবে এড়াতে পারেন না। তিনি জেলায় আসার পর থেকে প্রশাসনের সঙ্গে সাংবাদিকদের দূরত্ব বেড়েছে। প্রশাসনের সভা থেকে শুরু করে ভ্রাম্যমাণ আদালত সবখানে আমাদের হেয় করা হয়। সাংবাদিক শুনলে যেন তাদের আক্ষেপ বাড়ে। যা আগে কখনো ছিল না। এতদিন আমরা প্রতিবাদ করিনি। খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া বলেন, এত বছর ধরে প্রশাসনের সঙ্গে সাংবাদিকদের যে সুম্পর্ক ছিল তাতে অনেকটা ভাটা পড়েছে। প্রকাশ্যে জেলার প্রায়াই সাংবাদিকরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এতদিন চুপ ছিলাম। এভাবে তো চলতে পারে না। আমরা অনুষ্ঠানের সংবাদ বর্জন করেছি এবং অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা না চাইলে ভবিষ্যতে প্রশাসনের সব কর্মসূচি বর্জনসহ কঠোর অবস্থানে যাব।
×