অনলাইন রিপোর্টার ॥ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা লঘুচাপটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কা থাকায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতই রাখতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
মঙ্গলবার এই সঙ্কেত দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ঝরছে। আরও দুই-একদিন বৃষ্টির এই ধারা চলার পর শুক্রবার থেকে কমতে পারে, বলছে আবহাওয়া অধিদফতর।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে টেকনাফে ৩২৮ মিলিমিটার। এসময় কক্সবাজারে ১১৫, কুতুবদিয়ায় ১২৫, পটুয়াখালীতে ২৫২, খেপুপাড়ায় ২৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, বর্ষার মাঝ সময়ে এমন ভারি বর্ষণ হয়। লঘুচাপটি এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। তবে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা নেই। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও দু’দিন ভারি বর্ষণ হবে বিভিন্ন অঞ্চলে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা তুলনামূলক কমতে পারে।
এ আবহাওয়াবিদ জানান, লঘুচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে সাগরে থাকা সব নৌযানকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গা, রাজশাহী ও ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টির হতে পারে।
এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানান, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটিারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।