ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এনআইডি দেখিয়ে ৭ আগস্ট থেকে টিকা নেয়া যাবে

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ২৮ জুলাই ২০২১

এনআইডি দেখিয়ে ৭ আগস্ট থেকে টিকা নেয়া যাবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশব্যাপী করোনা প্রতিরোধ কর্মসূচী জোরদার করতে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে করোনার টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে এ সুবিধা চালু হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে করোনা সংক্রমণের উর্ধগতিতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এবার টিকা দেয়ার বিষয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। ইউনিয়নপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে টিকা কেন্দ্র স্থাপন করছে সরকার। সেখান থেকে ইউনিয়নের সব লোকজন, যারা টিকা নিতে চায় বা প্রয়োজন, তারা ওখানে এসে টিকা নিতে পারবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসলেই তারা টিকা পাবেন। কবে থেকে এ সুবিধা চালু হচ্ছে ? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। করোনা প্রতিরোধে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। কয়েকদিন ধরেই আগামী ৩১ জুলাই গার্মেন্টস খুলবে এমন গুজব ছড়ানোর পর শ্রমিকদের একটি অংশ ঢাকার ফিরছে। এই গুজব ও দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধসহ বেশকিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ নেই, তাদেরও একটি বিশেষ ব্যবস্থায় নিবন্ধন করে টিকা দিয়ে দেয়া হবে, স্পটেই। জানা যায়, করোনার টিকা দেয়ার গতি বাড়াতে আগামী ৭ আগস্ট থেকে দেশে বিদ্যমান সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী (ইপিআই) কার্যকর করা হবে। গ্রামপর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্য অস্থায়ী টিকাদানকেন্দ্রগুলোও কাজে লাগানো হবে। দিনে সাড়ে ৮ লাখ করে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, করোনার টিকা দেয়ার কার্যক্রম আরও জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কার্যক্রম যেন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে শুরু করা যায়, সেই নির্দেশনাও দেন তিনি। ওয়ার্ড পর্যায়ে যেসব বয়স্ক লোক আছেন, তাদের ভ্যাকসিনেশনের (টিকাদান) ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামের বয়স্ক রোগীরাই এখন বেশি হাসপাতালে আসছেন, এ সংখ্যা প্রায় ৭৫ শতাংশ। ঢাকা শহরেও তাই। তাদের মৃত্যুর হার বেশি, আক্রান্তের হারও ৯০ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের এপ্রিল নাগাদ দেশে আসবে ২১ কোটি ডোজ টিকা। চীনের সিনোফার্মের তিন কোটি ডোজ, এ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ, কো-ভ্যাক্সের আওতায় সাত কোটি এবং জনসন এ্যান্ড জনসনের সাত কোটি ডোজ টিকা আনতে এরইমধ্যে চুক্তি শেষ হয়েছে।
×