ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আমি এখন মধ্যবয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ॥ জয়

প্রকাশিত: ১৩:৫৬, ২৭ জুলাই ২০২১

আমি এখন মধ্যবয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ॥ জয়

অনলাইন ডেস্ক ॥ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোয় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। মঙ্গলবার নিজের জন্মদিনে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, যারা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমার বয়স এখন অর্ধশতক, বাংলাদেশের সমান বয়স। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ বছর পর বাংলাদেশ আজ একটি মধ্যম আয়ের, ডিজিটাইজড দেশ। আমি এখন একজন মধ্যবয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা! জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় মঙ্গলবারই তার জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করলেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে জন্ম নেন জয়। রাজনীতিতে অতটা সম্পৃক্ত না হলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে জয়ের বড় ধরনের ভূমিকার কথা বলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের ভাষ্য, নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র ধারণা জয়ের উদ্যোগেই যুক্ত হয়েছিল। আর তা তরুণ প্রজন্মের মন কেড়ে নেয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। এরপর মায়ের সঙ্গে ভারতে চলে যান। সেখানেই কাটে শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে পড়ালেখার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি নেন জয়। পরে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে। জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে, নানা-মায়ের দল আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক সদস্য হয়ে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তিনি ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন।
×