ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মামুনুলনামা ৩

মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির বিরুদ্ধেই যত ক্ষোভ

প্রকাশিত: ২৩:২২, ২১ এপ্রিল ২০২১

মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির বিরুদ্ধেই যত ক্ষোভ

মোরসালিন মিজান ॥ অন্য সব ব্যাপারে ‘স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই’ বলে হুঙ্কার দিলেও মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে অত্যন্ত কৌশলী অবস্থান নিতে দেখা যায় মামুনুল হককে। হেফাজতে ইসলামের চতুর নেতা একাত্তরকে পাশ কাটিয়ে ধর্মীয় প্রলেপে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনা করার নতুন ফন্দি আঁটেন। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন উদার অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ও বাঙালীর হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রতি চরম বিদ্বেষ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। স্বাধীনতা সংগ্রামের মৌল চেতনা, আদর্শিক চর্চা বিনষ্ট করতে অনুসারীদের উস্কে দেন তিনি। প্রচার করেন পাকিস্তানী ভাবাদর্শ। তার ওয়াজের ভিডিও দেখে দীর্ঘদিনের কর্মকা- পর্যবেক্ষণ করে এমন ধারণাই পাওয়া যায়। মামুনুল হককে বোঝতে সহায়তা করে তার বাবার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে সামনে আসা নথি বলছে, মামুনুল হক মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবারের সন্তান। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামের নেতাদের মতোই মুক্তিসংগ্রামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তার পিতা শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক। মৃত্যুর আগে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় বিশেষ সাক্ষাতকার দিয়ে তিনি তার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান পরিষ্কার করে গেছেন। স্বাধীনতাবিরোধী পিতার উত্তরাধিকার এখনও বহন করে চলেছেন মামুনুল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটিকে নিজের মতো বর্ণনা করার চেষ্টা করতে দেখা যায় তাকে। তার এ সংক্রান্ত বক্তব্যে একাত্তরের ৯ মাস পুরোপুরি উপেক্ষিত থাকে। বিষয়ের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বিকল্প হিসেবে ব্রিটিশ শাসনামলে বিভিন্ন বিদ্রোহের উদাহরণ টানেন তিনি। তিতুমীর বা হাজী শরীয়ত উল্লাহর বিদ্রোহকে ধর্মীয় প্রলেপ দেয়ার চেষ্টা করেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠনের মনগড়া ইতিহাস তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে আলেম ওলামাদের ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পুরোটা বাদ দিয়ে শুধু ‘ইনশাআল্লাহ’ শব্দটির ধর্মীয় ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাকে বিকৃত করার দুরভিসন্ধি দেখা যায় তার মাঝে। একই আদর্শের জায়গা থেকে নিজের মাদ্রাসা পরিচালনা করেন মামুনুল হক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্যান্য কওমির মতো তার মাদ্রাসায়ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন পাঠ দেয়া হয় না। শিক্ষার্থীদের স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুমতি নেই। শহীদ মিনারে ফুল দেয়া বারন। এমনকি তার মাদ্রাসাসহ অধিকাংশে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। মামুনুল নিজেই এমন রাষ্ট্রদ্রোহিতার শিক্ষা দিয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। হেফাজত নেতার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান বিশেষ স্পষ্ট হয় যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজপথে নেমে আসে তরুণ প্রজন্ম। দাবির পক্ষে অভূতপূর্ব গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়। গণজাগরণ মঞ্চের চাওয়ার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে গোটা দেশ। একই সময় যুদ্ধাপরাধের মামলায় বিচারের মুখোমুখি জামায়াত নেতাদের বাঁচাতে দলটির বি টিম হয়ে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে, সংগঠনের প্রভাবশালী তরুণ নেতা হিসেবে মামুনুল হক এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেন। ৫ মে মতিঝিলে তা-ব চালিয়ে সরকার পরিবর্তন করে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনিও। মামুনুলের একই অবস্থান স্পষ্ট হয় শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সম্পর্কে তার করা মন্তব্যে। এক সাক্ষাতকারে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাবাসে থাকা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি চাইতে দেখা যায় তাকে। একাত্তরের নরঘাতককে ‘আলেমে দ্বীন’ ‘আল্লার কোরানের ভাস্যকার’ দাবি করে তার মুক্তি কামনা করেন। সাঈদীকে মুক্তি দিলে তা ‘রহমতের কারণ হবে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে অহর্নিশ কাজ করে যাওয়া দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি সব সময়ই অসম্মান প্রদর্শন করেন মামুনুল। তার ওয়াজের ভিডিওতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে দেখা যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা করা নয় শুধু, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের যত অর্জন সব নষ্ট করে দিতে মরিয়া মামুনুল গং। পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চায় দেশকে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল উদার অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেখা যায় মামুনুলকে। ওয়াজের নামে বহু বছর ধরে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছেন এ উগ্রবাদী নেতা। ইউটিউবে আপলোড করা বেশ কিছু ভিডিওক্লিপ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মামুনুল অন্য ধর্মকে কোন কারণ ছাড়াই হেয় করেন। আক্রমণের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে হামলার ঘটনা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার উস্কানিতেই হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক সময়ে সুনামগঞ্জের শাল্লায় ওয়াজের নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে আসেন তিনি। স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে, মূলত এ উস্কানি পেয়েই শাল্লায় হিন্দুদের বাড়ি ঘরে তা-ব চালায় তার অনুসারীরা। এর আগে ভোলায় একইরকম হামলা চালানো হলে এক ওয়াজে হামলাকারীর পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা যায় মামুনুলকে। চুয়াডাঙ্গায় ‘নবীর অবমাননা’ হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছি, যারা আমার নবীকে গালি দেবে তাদের হত্যা করার জন্য পাগল হওয়ার নামই ইমান।’ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে নিয়মিত বিরতিতে তার কর্মীরা হামলা চালালেও তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা ‘মুসলমানদের তুলনায় আরও আরাম আয়েশে আছে।’ মামুনুল আরও বেশি ক্রোধ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ওপর। ক্ষুদ্র এ গোষ্ঠীটিকে ভয়ঙ্কর ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করে আইন পাস করতেও সরকারের প্রতি দাবি জানান। জঙ্গী আক্রমণ থেকে কাদিয়ানীদের রক্ষার দাবি তোলায় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুসহ প্রগতিশীল রাজনীতিবিদদের ‘দালাল’ আখ্যা দিয়ে তাদের সংসদ ভবনে ঢুকতে দেয়া হবে না বলেও হুঙ্কার দেন মামুনুল। তাদের গোটা দেশে অবাঞ্ছিত করারও ঘোষণা দেন তিনি। মামুনুলের ঘরানার না হলে অনেক আলেমকেও আক্রমণ করতে ছাড়েন না তিনি। ওয়াজে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আলেমরা দায়িত্ব পালন করে। তবে কথা হলো কি জানেন, আলেম নামী অনেক কিছুই তো সমাজে থাকে।’ অন্যের অনুভূতির প্রতি চরম অশ্রদ্ধা দেখিয়ে মামুনুলকে বলতে শোনা যায়, সারাদেশে যত মাজার আছে সব গুঁড়িয়ে দাও। মামুনুল হক বাঙালীর নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির ঘোরবিরোধী। হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে আক্রমণ করে নিয়মিতই বক্তৃতা করেন। সকল ধর্ম বর্ণের মানুষকে একত্রিক করে যে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপিত হয় সেই ঐতিহ্যবাহী উৎসবের কঠোর নিন্দা করেন তিনি। ওয়াজের সময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আজকে বিভিন্ন নামে বাঙালীয়ানার নামে পয়লা বৈশাখের নামে থার্টিফার্স্ট নাইটের নামে কখনো পশ্চিমা অসভ্য সভ্যতা, পশ্চিমা অসভ্য সংস্কৃতি আমাদের দেশে আমদানির পাঁয়তারা করা হয়। আর কখনও বাঙালীয়ানার নামে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অশ্লীলতা বেহায়াপনা আমদানি কারবার পাঁয়তারা করা হয়।’ বাঙালী সংস্কৃতিকে ‘হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতি’ দাবি করে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে এ সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার যদি পাঁয়তারা করা হয়, অতীতেও বরদাস্ত করিনি। ভবিষ্যতেও মানব না।’ গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মামুনুলের এ ধরনের উস্কানিতেই বাংলার বাউল সাধকদের ওপর উগ্রবাদী হামলা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীত ভবনে কয়েকদফা অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়েছে তার উস্কানিতেই। ভবনে থাকা শিল্পীদের সাধন যন্ত্র, কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞের ছবি ইত্যাদি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করেছে দুর্বৃত্তরা। অভিন্ন উদ্দেশ্যে জ্ঞানের অফুরন্ত উৎস বইয়ের লাইব্রেরিতে হামলা চালানো হয়েছে। ওয়াজের ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়, এ মৌলবাদী নেতা ধর্ম ও সংস্কৃতিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজে ফায়দা লুটার চেষ্টা করেন। পুলিশ ও প্রশাসনের সমালোচনা করে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘মমতাজের গানের আয়োজন করলে তোমরা সুন্দর হাসতে হাসতে পারমিশন দিয়ে দাও। একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে বেহায়াপনা হলে দশটা মাহফিল হবে। যেখানেই বেহায়াপনা, যেখানেই অশ্লীলতা সেখানেই ব্যাপকভাবে ইসলামের আওয়াজ প্রচার করবেন।’ জানা যায়, এভাবে একটি সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরির চেষ্টা করেন তিনি। সংস্কৃতিকর্মীদের ‘বাতিল’ বলে ফতোয়া দিতেও দেখা যায়। ফলে অনুসারীদের মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব পরিলক্ষিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করেন তারা। কিছুদিন আগে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলে ইনিয়ে বিনিয়ে তার বিরোধিতা করতেও দেখা যায়। সম্প্রতি মামুনুল হক সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে পড়েন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে। ঢাকার পোস্তগোলায় স্বাধীনতার মহানায়কের ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা করা হলে তা গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন তিনি। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ বলছে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার জায়গা থেকেই ভাস্কর্য শিল্পের বিরোধিতা করেন মামুনুল হক। বাংলাদেশের অধিকাংশ ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। অভিযোগ রয়েছে মূলত এ কারণেই তিনি ‘ভাস্কর্যকে শিরকি সংস্কৃতি’ বলে ফতোয়া দেন। মামুনুলের ভাষায়, ‘যখন আমরা দেখি তোমরা এমন এক সংস্কৃতি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছ যে সংস্কৃতির বিরুদ্ধাচরণ আমরা না করলে আগামী দিনের প্রতিটি মুসলমানের ঘরে ঘরে বিভিন্ন মূর্তির আখড়া গড়ে উঠবে।’ তার এমন উস্কানিতেই কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়েছে বলেও স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধীদের মতো মামুনুলের মাঝেও রয়েছে তীব্র ভারত বিরোধিতা। মুক্তিযুদ্ধে বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিপুলভাবে সহায়তা করেছিল। এ প্রসঙ্গটি তার ওয়াজে কখনই আলোচিত হতে দেখা যায় না। দেশটিকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ হিসেবে টার্গেট করে বিষোধগার করতে দেখা যায় তাকে। অন্যান্য দেশের কাছেও বাংলাদেশকে ছোট করার চেষ্টা চালান মামুনুল। কিছুদিন আগে ফ্রান্সে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর কার্টুন আঁকার ঘটনায় একজন শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। বহু দূরের দেশের বিচ্ছিন্ন ঘটনায় বাংলাদেশে তা-ব চালানোর উস্কানি দেন তিনি। বলেন, ‘যারা নামাজ পড়ত না তারাও মাথায় কাফনের কাপড় পরে নেমে পড়েছে। যাদের ডেকে আনা যেত না তারা এখন শুধু মসজিদের বারান্দায় নয়, জিহাদের ময়দানে যেতে প্রস্তুত হয়ে গেছে।’ এ সময় তার ভক্তদের ‘ফ্রান্সের দূতাবাস ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। ওই ঘটনায় গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান মামুনুল হক। এভাবে বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে ছোট করা, শত্রু বাড়ানোর দুরভিসন্ধি নিয়ে মামুনুল হক কাজ করে চলেছেন।
×