ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, নেইমার-এমবাপের দুর্দান্ত যুগলবন্দী, টিকে থাকতে হলে প্যারিসে অসাধ্য সাধন করতে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বেয়ার্নকে, পোর্তোকে হারিয়ে সেমিতে এক পা চেলসির, বেয়ার্ন মিউনিখ ২-৩ পিএসজি, এফসি পোর্তো ০-২ চেলসি

মিউনিখে মধুর জয়ে সেমির পথে পিএসজি

প্রকাশিত: ২১:০৪, ৯ এপ্রিল ২০২১

মিউনিখে মধুর জয়ে সেমির পথে পিএসজি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘বদলা’র ষোলোকলা এখনও পূর্ণ হয়নি। গত বছর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে বেয়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের (পিএসজি)। সেই জ্বালা মেটানোর সুযোগ চলমান মৌসুমেই এসেছে নেইমার-এমবাপেদের সামনে। তবে এবারের মঞ্চটা ফাইনাল নয়; কোয়ার্টার ফাইনাল। যে কারণে বুধবার রাতে মিউনিখের এ্যালিয়েঞ্জ এ্যারানায় শেষ আটের প্রথম লেগে স্বাগতিক বেয়ার্নকে ৩-২ গোলে হারিয়েও আপাতত তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে পারছে না পিএসজি। কেননা ১৩ এপ্রিল প্যারিসে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ এখনও বাকি আছে। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে কিলিয়ান এমবাপে-নেইমারদের তুখোড় নৈপুণ্যে যে জয় নিয়ে ফিরেছে প্যারিসের পরাশক্তিরা তাতে তাদের সেমিফাইনালে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত। কেননা আসরে টিকে থাকতে হলে আগামী মঙ্গলবার পিএসজির মাঠে বেয়ার্নকে শুধু জিতলেই চলবে না। জয়ের ব্যবধান হতে হবে কমপক্ষে ২ গোলের। এক গোল হজম করে ফেললে কাজটা আরও কঠিন হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। মিউনিখে পুরো ম্যাচে বলের দখল অনেকটা একতরফা ছিল বেয়ার্নের। কিন্তু নেইমার-এমবাপে-ডি মারিয়াদের পাল্টা আক্রমণ সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যান্স ফ্লিকের দল। ম্যাচে বেয়ার্নের বলের দখল ছিল ৬৪ শতাংশ, আর পিএসজির মাত্র ৩৬। ম্যাচে মোট ৩১ বার শট নিয়েছে বাভারিয়ানরা, যার মধ্যে পিএসজির পোস্টেই ছিল ১২বার। কিন্তু বেয়ার্ন গোল পেয়েছে মাত্র ২টি। চ্যাম্পিয়নদের আটকে রাখার অন্যতম দাবিদার পিএসজির কোস্টারিকান গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদকে টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতানো গোলরক্ষক প্যারিসের ক্লাবের হয়েও উজ্জ্বল চ্যাম্পিয়ন্স লীগে। মুলার-আলবাদের একের পর এক প্রচেষ্টা সুপারম্যানের মতো নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি। তাইতো ২০১৯ সালের মার্চের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বেয়ার্নের ১৯ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রাটা থেমে গেছে। পক্ষান্তরে বেয়ার্নের গোলপোস্টে মাত্র পাঁচটি শট নিয়ে তিনটিতেই গোল আদায় করে নিয়েছে পিএসজি। মিউনিখে শুরুতেই ভড়কে যায় বেয়ার্ন। তৃতীয় মিনিটে নেইমারের পাসে পিএসজির প্রথম গোল করেন এমবাপে। ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পিএসজি অধিনায়ক ও ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মারকুইনহোস। এই গোলেরও যোগানদাতা ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বেয়ার্ন প্রথম গোল পায় ৩৭ মিনিটে। বেঞ্জামানি পাভার্ডের পাসে গোলটি করেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং। বিরতির পর ৬০ মিনিটে জসুয়া কিমিচের সহায়তায় বেয়ার্নকে ২-২ গোলে সমতায় ফেরান তারকা ফরোয়ার্ড টমাস মুলার। কিন্তু ডি মারিয়ার পাসে ৬৮ মিনিটে এমবাপে নিজের দ্বিতীয় ও পিএসজির তিন নন্বর গোল করলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বেয়ার্নকে। স্বাগতিকদের লজ্জা আরও বড় হতো যদি ১১ মিনিটে উইলিয়ান ড্রাক্সলারের গোল অফসাইডে বাতিল না হতো। হাঁটুর ইনজুরির কারণে বেয়ার্নের হয়ে ম্যাচটি খেলতে পারেননি দলের সেরা তারকা রবার্ট লেভানডোস্কি। যার খেসারত দিতে হয়েছে বাভারিয়ানদের। ম্যাচশেষে টমাস মুলার বলেন, আমাদের অনেকগুলো গোল করা উচিত ছিল। ম্যাচটি ৫-৩ বা ৬-৩ ব্যবধানে আমাদেরই জয় পাওয়ার কথা। আমরা হারতে চাইনি। দল দুর্দান্ত খেলেছে; কিন্তু সুযোগগুলো কাজে আসেনি। অন্যদিকে পিএসজির বিশ্বকাপ জয়ী ফরাসী তারকা এমবাপে বলেন, আমরা আমাদের সবগুলো সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছি। অবশ্য ভাগ্যও সহায়তা করেছে। তবে এখনই সবকিছু নির্ধারিত হয়ে যায়নি। স্পেনের সেভিয়ার র‌্যামন সানচেজ পিজুয়ানে আরেক ম্যাচে পোর্তোর বিরুদ্ধে যোগ্যতর দল হিসেবেই জয় পেয়েছে চেলসি। পুরো ম্যাচে একচেটিয়ে খেলা ইংলিশ জায়ান্টরা প্রথম গোল পায় ৩২ মিনিটে। জর্জিনহোর পাসে লক্ষ্যভেদ করেন ইংল্যান্ডের এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ম্যাসন টনি মাউন্ড। ৮৫ মিনিটে আরেক ইংলিশ লেফটব্যাক বেঞ্জামিন জেমস চিলওয়েলের গোলেও অবদান রাখেন জর্জিনহো।
×