ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাউফলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ৯ এপ্রিল ২০২১

বাউফলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৮ এপ্রিল ॥ কাছিপাড়া ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে রিমা বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ৪ বছর আগে কাছিপাড়া ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামের আবদুল বারেক হাওলাদারের ছেলে সজীব হাওলাদারের (২৭) সাথে একই ইউনিয়নের দীঘিরপার গ্রামের বাবু মৃধার মেয়ে রিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রাইসা নামের তিন বছরের এক মেয়ে আছে। ৩-৪ দিন আগে পারিবারি কলহের জের ধরে সজীব হাওলাদার তার স্ত্রী রিমা বেগমকে মারধর করে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে রিমু বেগমকে অসুস্থ অবস্থায় কালিশুরী স্লোব বাংলাদেশ নামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের কর্ত্যবরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর রিমু বেগমের লাশ স্বামীর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। দাফনের জন্য লাশের গোসলের সময় কয়েকজন নারী তার শরীরে বিভিন্ন জায়গা নির্যাতনে চিহ্ন দেখতে পান। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে তারা লাশ দাফনে বাধা দেন। এ খবর শুনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হলে আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাই।’ মৃত রিমু বেগমের স্বামী সজীব বলেন, ‘১০-১২ দিন আগে আমার স্ত্রী ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি মারা গেছেন। আমি আমার স্ত্রীকে নির্যাতন করেননি।’ এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আল মামুন (তদন্ত) বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সন্দেহজনক হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ কেরানীগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূ নিখোঁজ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, শ্বশুরবাড়ি থেকে হাজেরা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়ে গেছে। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি, হাজেরা বেগমকে হত্যার পর লাশ গুম করেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অন্যদিকে স্বামীর দাবি, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে হাজেরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় হাজেরা বেগমের মা সালেহা বেগম বাদী হয়ে গত ৫ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ৭ এপ্রিল তিনি বাদী হয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির ৫ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিখোঁজ গৃহবধূর মা সালেহা বেগম জানান, দেড় বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে হাজেরার সঙ্গে সোহেলের বিয়ে হয়। এটি উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে হাজেরা বেগমকে প্রায়ই নির্যাতন করত স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। হাজেরা বাবার বাড়িতে আসতে চাইলে সোহেল আসতে দিত না। হাজেরা মোবাইল ব্যবহার করত না। গত ৪ এপ্রিল মেয়ের খোঁজ নিতে সালেহা বেগম সোহেলকে ফোন করলে তিনি ধরেননি।
×