ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নাগরপুর হাসপাতাল সড়ক সেতুটি এখন মরণফাঁদ

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ৯ এপ্রিল ২০২১

নাগরপুর হাসপাতাল সড়ক সেতুটি এখন মরণফাঁদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৮ এপ্রিল ॥ টাঙ্গাইলের নাগরপুর দরগ্রাম ও ছনকা বাজার সড়কের নাগরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুর মাঝখানে দেবে গেছে, দুপাশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে। বেশিরভাগ পিলারের পলেস্তারা উঠে গেছে। বেরিয়ে গেছে রড। গত চারদিন আগে এক পাশে ভেঙ্গে দেবে গেলেও ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে হাজারো মানুষ ও যানবাহন। যে কোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। সেতুর কোন পাশেই লাগানো হয়নি ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সংবলিত সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। করা হয়নি বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা। আর এই সড়ক দিয়েই প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর, সাটুরিয়াসহ ঢাকার যাত্রীরা। ব্রিজের ঢালের মুদি দোকানি আব্দুস ছালাম (৬৯) বলেন, নাগরপুর দরগ্রাম ও ছনকা বাজার সড়কের নাগরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয় বাংলাদেশ স্বাধীনের আগে। এত বছর আগে সেতুটি নির্মিত হলেও আজ অবধি শুধু রেলিং রং করা ছাড়া সেতু আর কোন প্রকার সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘ এত বছর ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে সেতুর ওপর দিয়ে অতিরিক্ত মালবাহী যানবাহন চলাচল করায় সেতুর একপাশ ভেঙ্গে ডেবে গেছে। মনে আতঙ্ক-ভয় আর ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। সেতুটি যে কোন মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয়বাসিন্দা আজাদ বলেন, সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচলের সময় ভয়ে থাকতে হয়, কখন যেন এটি ভেঙ্গে পড়ে। এমন আশঙ্কা নিয়ে ওই সেতুর ওপর দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত চলাচল করছি আমিসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ। নাগরপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, পাশে কোন বিকল্প রাস্তা নেই। তাই জনসাধারণকে অনুরোধ করছি তারা যেন আপাতত নাগরপুর চৌরাস্তা হয়ে হাসপাতালের মাঠের পাশ দিয়ে চলাচল করেন। সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য চেষ্টা করছি। আশা করছি খুব দ্রুতই পুনর্নির্মাণ করতে পারব।
×