ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মেয়র পদে মোট প্রার্থী ৭ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বী ২২৫ ভাবমূর্তি রক্ষায় ইসি ভোটারদের প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ

নৌকা ধানের শীষে যুদ্ধ ॥ আজ চসিক মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে প্রথম ভোট

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

নৌকা ধানের শীষে যুদ্ধ ॥ আজ চসিক মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে প্রথম ভোট

মোয়াজ্জেমুল হক/হাসান নাসির ॥ সব ধরনের প্রচার মিছিল গণসংযোগ ও ঘরে ঘরে ভোটারদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের সমাপ্তি ঘটেছে। বুধবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ভোটের লড়াই। চট্টগ্রাম মহানগরীর ভোটাররা তাদের পছন্দের একজন মেয়র, ৫৩ সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন। স্থানীয় সরকার অধীনে নির্বাচনে চট্টগ্রামে মেয়র পদে এটাই প্রথম দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়াই। আকর্ষণীয় মেয়র পদটিতে লড়াই নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরের অবস্থান চট্টগ্রামে হওয়ায় মর্যাদার দিক দিয়ে এই নগরী বরাবরই আলাদা গুরুত্ব বহন করে। ফলে বড় দুই রাজনৈতিক দলের জন্য এ নির্বাচন একটি মর্যাদার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। ভোটারদের ভোট উৎসবের মন আছে। এর পাশাপাশি উদ্বেগ উৎকণ্ঠারও কমতি নেই। তবে শেষ পর্যন্তও ভোটের সামগ্রিক পরিবেশ ইতিবাচক রয়েছে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে মূলত নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধ সীমাবদ্ধ থাকবে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন একটি সুন্দর ভোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভাবমূর্তি রক্ষার প্রয়াসে লিপ্ত। অপরদিকে, ভোটাররা চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। যাতে যার যার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ওই পরিবেশই বজায় থাকবে। ইতোমধ্যে একজনের প্রাণহানি ও বিক্ষিপ্ত সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে তা আর বাড়তে পারেনি। আজ প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা বলবৎ রাখবে। ভোট কেন্দ্রে যাতে ভোটার নির্বিঘেœ যেতে পারেন সে ব্যবস্থাও থাকবে। গত ৮ জানুয়ারি থেকে প্রার্থীদের টানা প্রচার সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার প্রার্থীরা অনেকটা দৌড়ঝাঁপমুক্ত ছিলেন। তবে ব্যস্ত ছিলেন কলাকৌশল নির্ধারণে। অপরদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম কন্ট্রোল রুম থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যেই এসব সরঞ্জাম প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে এ নির্বাচনে এবার ভোটারসংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩। ভোট কেন্দ্র ৭৩৫। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৮৬। এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে এক ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে না। আরেকটি ওয়ার্ডে এক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ওই দুই ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হবে। অপরদিকে, মেয়রের পদে ৭ প্রার্থী রয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী। এছাড়া বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে বিদ্রোহী নামে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। আর অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ভোট কেন্দ্রে শান্তিভঙ্গের আশঙ্কাও আছে। তবে ইভিএমে ভোট হবে বিধায় ব্যালট ও ভোটবাক্স দখলের সুযোগ নেই। নির্বাচনে ইসির কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রায় ১৬ হাজার কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। এরমধ্যে ৭৩৫ প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৪ হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার। বাকিরা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শুরু হয় ইভিএম এবং ভোটের সরঞ্জাম কেন্দ্রে পৌঁছানোর কাজ। নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম থেকে এগুলো বুঝে নেন ভোটগ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং কর্মকর্তারা। মোট ৯ হাজার ৭৭২টি ইভিএম পাঠানো হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলোতে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এগুলো কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়। জিমনেসিয়াম চত্বরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। সাংবাদিকদের তিনি জানান, কয়েকঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রে পৌঁছার পর মেশিনগুলোকে পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোন ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেলে তা ঠিক করা হবে। বুথ অনুযায়ী যত মেশিনের প্রয়োজন তারচেয়ে অতিরিক্ত মেশিন প্রস্তুত রাখা রয়েছে। আজ নগরজুড়ে ২৫ প্লার্টুন বিজিবি এবং ৯ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৪ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। ৭ ধরনের যানবাহন চলবে না। কাল থেকে চারদিনের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলে দিয়েছেন, এ নির্বাচনে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না। পক্ষান্তরে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, সরকারপক্ষ নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সিইসি কে এম নুরুল হুদা চট্টগ্রামে এসে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে বলেছেন, সব প্রার্থী যেন সমান আচরণ পান তা নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ১৯৯৪ সালে হয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন। সে হিসাবে এটি মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ষষ্ঠ লড়াই। প্রথম নির্বাচনে মেয়র হন আওয়ামী লীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি টানা তিনবার এ পদে বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক গৌরব অর্জন করেন। তারপর বিজয়ী হন বিএনপি সমর্থিত আলহাজ মনজুর আলম। এবং তারপর মেয়র পদে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের আ জ ম নাছির উদ্দিন। ২০২০ সালের ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আজ ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন নির্দিষ্ট করা হয়। মাঝপথে আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজনকে প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, চসিকের নির্বাচন প্রক্রিয়ার আগে রাজনৈতিক বিবেচনায় মনোনীত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাতীয় পার্টির মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও বিএনপির মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। এদিকে, এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, ভোটে প্রতিহিংসা থাকবে না, থাকবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অপরদিকে, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শেষ পর্যন্ত তিনি লড়ে যাবেন। জনরায় যাতে পাল্টানোর চেষ্টা না হয় সেদিকেই সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এছাড়াও রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রামে ভোটের লড়াইয়ে বিএনপি নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছেন। অপরদিকে, ধানের শীষের ডাঃ শাহাদাত বলেছেন, বিএনপির জনসমর্থন দেখে আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ৪১৭ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ॥ চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ অত্যন্ত ভাল হলেও উৎকণ্ঠা রয়েছে কাউন্সিলর পদের ভোট নিয়ে। কেননা, প্রায় সব ওয়ার্ডেই রয়েছে দলীয় সমর্থন না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থী। ভোটের লড়াইয়ে অবতীর্ণ প্রার্থীর প্রায় সকলেরই রয়েছে এলাকায় জনসমর্থন এবং প্রভাব প্রতিপত্তি। তারা নিজেদের সমর্থনে কেন্দ্রে ভোটার আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। কোন কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলতে না চাইলেও রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় এরমধ্যেই ৪১৭ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এ কেন্দ্রগুলোর ওপর বাড়তি নজরদারি থাকবে। চট্টগ্রাম নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ॥ চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা। এছাড়া নগরের মোড়ে মোড়ে বসেছে চেকপোস্ট। রয়েছে সড়কগুলোতে পুলিশ ও বিজিবির টহল। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ করছে অন্তত ২০টি টিম। কোন ধরনের অনিয়ম কিংবা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ধরা পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বা শান্তিভঙ্গের কাজে ব্যবহার হতে পারে এমন সামগ্রী বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আজ রাত পর্যন্ত এমন কড়াকড়ি বলবৎ থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ১৮ দিনের প্রচারে দুয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। একটি হত্যার ঘটনা ঘটে থাকলেও তা মেয়র পদের কর্মী সমর্থকদের সংঘাত নয়। কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়াদের মধ্যে এলাকায় শোডাউন পাল্টা শোডাউনের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের দিনেও কাউন্সিলর পদের ভোট নিয়েই সর্বাধিক উৎকণ্ঠা। ২৫ প্লার্টুন বিজিবি ॥ চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীকে। সোমবার থেকেই মাঠে নেমেছে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। মোট ২৫ প্লার্টুন বিজিবি সদস্য নামানো হয়েছে। এরমধ্যে ২২ প্লার্টুন থাকবে বিভিন্ন কেন্দ্রে এবং ৩ প্লার্টুন থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। মোট স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ১৪০টি। মোবাইল টিম কাজ করবে ৪১০টি। এছাড়া র‌্যাবের ৪১টি টিম নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকবে। ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ ॥ নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসনও থাকবে তৎপর। ভোটের প্রচারের শুরু থেকেই নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে চেকপোস্ট বসেছে। নির্বাচনের আগেরদিন থেকে পুলিশের সংখ্যা আরও বেড়েছে। চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, ৭ হাজার ৭৭২ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ৭ ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ॥ চসিক নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা এবং অপ্রীতিকর ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে কিছু যানবাহন চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ভোটের আগেরদিন রাত থেকে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। সিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যে সকল যানবাহন চলাচল করতে পারবে না সেগুলো হচ্ছে ট্রাক, পিকআপ, বেবিট্যাক্সি, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও জীপ। তবে গণপরিবহনগুলো চলাচল করতে পারবে। এছাড়া নির্বাচনের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থার যানবাহনগুলো রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে। সাধারণ ছুটি থাকছে না ॥ আজ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রামে সাধারণ ছুটি থাকছে না। ফলে সরকারী-বেসরকারী অফিস আদালত, মিল কারখানায় কার্যক্রম যথানিয়মে চলবে। তবে বড় দুটি ইপিজেড নির্বাচন উপলক্ষে একদিনের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম ইপিজেড (সিইপিজেড) ও কর্ণফুলী ইপিজেড (কেইপিজেড)। দুটিই পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত এবং এ দুটি ইপিজেডে প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিক কর্মচারী, কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। ভোট দানের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেপজা কর্তৃপক্ষ। মোটরবাইক নিষিদ্ধ ॥ এই প্রথম কোন নির্বাচনে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৬ষ্ঠ নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। এ নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামের প্রায় ৪ শ’ সাংবাদিক নির্বাচন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করবেন।
×