ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচারে নৌকার রেজাউল, নালিশে ধানের শীষের শাহাদাত এগিয়ে

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

প্রচারে নৌকার রেজাউল, নালিশে ধানের শীষের শাহাদাত এগিয়ে

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কাল ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরবাসীর জন্য বহুল প্রতীক্ষার সিটি নির্বাচন। এ নির্বাচনে মূলত প্রধান আকর্ষণ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৭ প্রার্থীর মধ্যে দু’জন। এদের একজন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। অপরজন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন। এ কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। তন্মধ্যে কাউন্সিলর নির্বাচন হবে ৩৯টিতে। একটি ওয়ার্ডে এক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আরেকটি ওয়ার্ডে এক প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনী মাঠ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণার পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের গণসংযোগ ও বিভিন্ন আঙ্গিকে মিছিল, পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ স্লোগান ইত্যাদিতে মাঠ সরগরম হয়েছে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা চট্টগ্রাম ঘুরে গেছেন। পরিস্থিতি দেখে তিনি সৌহার্দ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, ইভিএমের মাধ্যমে সকল প্রার্থীর অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। এদিকে, প্রচার প্রচারণা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মেয়র পদে ৭ প্রার্থী হলেও মূলত নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন। আবার এক্ষেত্রে প্রচারে এগিয়ে আছেন নৌকার রেজাউল করিম আর প্রতিদিন বিভিন্ন অভিযোগ না নালিশ নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে হাজিরা দিচ্ছেন ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন। সোমবার প্রচারণার শেষদিনে ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে গণসংযোগের ব্যাপক কোন তৎপরতায় দেখা যায়নি। তাকে দলবল নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের দফতরে নানা অভিযোগ দিতে দেখা গেছে। তার সর্বশেষ অভিযোগ, রবিবার রাতে পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেয়া না হলে নির্বাচনের দিন তিনি নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেবেন বলে জানান দেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ডাঃ শাহাদাত যেসব অভিযোগ দিয়েছেন সেগুলো নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বিষয়টি তিনি তাদের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। অতীতের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে বরাবরই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ ছিল। এবারের অবস্থাও অনুরূপ। দুদলের দুই প্রার্থীরই মেয়র পদে এটা প্রথম নির্বাচন। এছাড়া দলীয় প্রতীক নিয়েও মেয়র পদে এটা প্রথম নির্বাচন। অপরদিকে, দুদল কাউন্সিল পদে প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে ৩৯ ওয়ার্ডের নির্বাচনে সাধারণ ও নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষ থেকেও নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ, কার্যালয় ভাংচুর ছাড়াও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ রয়েছে। একটি ওয়ার্ডে একটি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের কড়া নজরদারির কারণে এ ধরনের অপকর্মে গতি অনেকটা থমকে গেছে।
×