ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও পরীক্ষার কেন্দ্র নিয়ে দ্বিমত

গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে মতবিরোধ চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ২০ জানুয়ারি ২০২১

গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে মতবিরোধ চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা নিতে আগেই সম্মত হয়েছিলো প্রকৌশল শিক্ষার অন্যতম চার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট) ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(কুয়েট)। তবে পরীক্ষা কমিটির নেতৃত্ব ও কেন্দ্র নিয়ে মতবিরোধ আটকে গেছে পরীক্ষার ভবিষ্যত। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মধ্যস্থতায় তিন দফা বৈঠক করেও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি চার বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকও শেষ হয়েছে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট একং কুয়েটের উপাচার্যদের ভার্চ্যুয়াল বৈঠক বসেছিলো। বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃ দেবে বা পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান কে হবে এবং কোথায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এ নিয়ে চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ধান্তহীনতায় ফের ঝুলে গেছে পরীক্ষা। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান এবং বুয়েটের তিনজন অধ্যাপক অংশগ্রহণ করেন। আগের সভায় বুয়েট জানায়, প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান বুয়েট থেকে এবং পরীক্ষার কেন্দ্র শুধুমাত্র বুয়েটেই হবে। তবে বুধবারের সভায় অন্য তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্য জানান, শুধু বুয়েটের একা নয়, অন্য তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদারিত্ব থাকবে এবং প্রশ্নপত্র কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রণয়ণে তাদের রাখতে হবে। বৈঠকের পর ইউজিসি জানিয়েছে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইংরেজি বানানের আদ্যক্ষর দিয়ে পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব দিয়েছে বুয়েট ব্যতীত অন্য তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র চার বিশ্ববিদ্যালয়ে করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা। এ দুটি বিষয়ে বুয়েট আগামী সপ্তাহে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ¦ান করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। জানা গেছে, বুয়েটের প্রস্তাবনা অনুসারে, প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান বুয়েট থেকে এবং পরীক্ষার কেন্দ্র শুধুমাত্র বুয়েটেই হবে। তবে কমিটিতে অন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশীদারিত্ব থাকবে। প্রশ্নপত্র কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রণয়ন করবে। বুয়েট দুটি বিষয় আগামী সপ্তাহে তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তুলবে। সেখানে অনুমোদন পর্যšন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে কমিশনকে জানায়। বুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল জব্বার খান বলেন, ভতিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে তারা এই পদ্ধতিতে যাচ্ছেন। বুয়েটের চলমান ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন নেই। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় কোন ধরনের বিপর্যয় যাতে না ঘটে, সেদিকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে ভর্তি পরীক্ষায় কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রতি বছর কোথায় পরীক্ষা হবে তা নিয়ে অন্য তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় যে দুটি প্রস্তাব দিয়েছে তা আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন। আগামী সপ্তাহ জরুরি সভা ডাকা হবে। সেখানে যে সিদ্ধান্ত আসবে তার প্রেক্ষিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক আলমগীর বলেন, শিঘ্রই এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সবার জন্য মঙ্গলজনক। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি উদারভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। প্রাথমিকে উপবৃত্তি পেতে জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক: প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি পেতে হলে নিবন্ধন লাগবে। উপবৃত্তির জন্য তথ্য এন্ট্রির সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ সংযুক্ত করতে হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক কার্যালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। পরিচালক মো. ইউসুফ আলী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায় থেকে কিছু সমস্যার কথা প্রকল্প কার্যালয় অবগত হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক জন্ম নিবন্ধন রেজিস্টার জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। জন্ম নিবন্ধন রেজিস্টার জেনারেল জানিয়েছেন সারাদেশের চার হাজার ৫০০ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে তিন হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদের নিবন্ধন কার্যক্রম আপগ্রেড করা হয়েছে। যে সকল এলাকায় নিবন্ধন কার্যক্রমে সমস্যা হবে, সেখানকার উপজেলা শিক্ষা অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করবেন। উপজেলা পর্যায়ে সমাধান না হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডিডিএলজি র সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। অফিস আদেশে আরো বলা হয়, কক্সবাজার জেলায় রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম নেই। তবে ওই জেলার উপজেলাগুলোয় একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলার যে সকল স্থানে সমস্যা দেখা যাবে সেখানকার অভিভাবকদের সংশ্লিষ্ট উপজেলার টাস্কফোর্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করবেন।
×