স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি সপ্তাহেই দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল হচ্ছে। এ দফায় প্রায় ৬০টি পৌরসভায় মধ্য জানুয়ারিতে নির্বাচনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অন্তত ৩০ পৌরসভায় ভোট নেয়া হবে ইভিএম মেশিনে। রবিবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে ইসির জেষ্ঠ্য সচিব মোঃ আলমগীর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার চার ধাপে পৌর নির্বাচন করতে চায় কমিশন। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভায় ইভিএমে ২৮ ডিসেম্বর ভোটের তফসিল দেয়া হয়েছে। এবার মোট চারটি ধাপে ১৯৪টি পৌরসভার ভোট হবে বলেও তিনি জানান। এর বাইরে প্রতিটি ধাপে কমবেশি ৬০টি করে পৌরসভায় ভোট নেয়া হবে। প্রত্যেক ধাপে ৩০টি পৌরসভায় ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। জানুয়ারির শেষে তৃতীয় ধাপ এবং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে রবিবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা সভাপতিত্বে’ কমিশনের সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের নির্বাচন উপযোগী পৌরসভার সার্বিক নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব। তিনি আরও বলেন, সক্ষমতা, প্রাপ্তি, প্রশিক্ষিত লোকবল ও কারিগরি বিষয় বিবেচনায় সব পৌরসভায় ইভিএমে ভোট করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রত্যেকটি ধাপে ইভিএমে ভোট হবে ৩০টির মতো পৌরসভায়। বাকিগুলোয় ব্যালটে ভোট হবে।
পিডিপির নিবন্ধন বাতিল ॥ এ সময় ইসি সচিব জানান, সভায় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি)- এর নিবন্ধন বাতিল করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত থাকতে যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, পিডিপি তার বেশিরভাগই পূরণ করতে পারেনি। যে কারণে দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। ‘ইসি তদন্ত করে দেখেছে, পিডিপি নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করছে না। পরে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে শুনানিও হয়। দলটি কিছু কাগজপত্র দিয়েছিল। কিন্তু ইসি পর্যালোচনা করে দেখেছে, তারা নিবন্ধিত থাকার বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করছে না।