ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব অনুদান ৮৪ শতাংশের স্থানে বর্তমানে ৩ শতাংশ মাস্ক পরা নিশ্চিতে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ

আমরা আর দানের ওপর নির্ভরশীল নই

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২৪ নভেম্বর ২০২০

আমরা আর দানের ওপর নির্ভরশীল নই

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় বৈদেশিক নির্ভরতা এখন নূন্যতম পর্যায়ে। অতীতে যেখানে বৈদেশিক সহায়তায় অনুদানের পরিমাণ ছিল ৮৪ শতাংশ, এখন তা নেমে এসেছে ৩ শতাংশে। করোনা মহামারী ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এক কোটি ৬ হাজার পরিবার সরকারী ত্রাণের চাল পেয়েছে। মন্ত্রিসভাকে অবহিত করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এই তথ্য দেয়া হয়েছে। সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে জরিমানায় কাজ না হলে শাস্তি আরও কঠোর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৈঠকে চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক সহায়তায় অনুদানের পরিমাণ ছিল ৮৪ থেকে ৮৬ শতাংশ। বাকিটা ছিল ঋণ। এখন সেই অনুদানের পরিমাণ নেমেছে ৩ শতাংশে। বৈদেশিক সহায়তার অবস্থা কী সে বিষয়ে ছিল এই উপস্থাপনাটি। সেখানে ১৯৭১-৭২ থেকে এই পর্যন্ত ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত যদি একটা তুলনা করি সেখানে দেখা যাবে, ১৯৭১-৭২ অর্থবছর আমাদের বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে অনুদান ছিল সর্বোচ্চ ৮৪/৮৫/৮৬ শতাংশ, ঋণ ছিল ৬ থেকে ৮ শতাংশ। বেশিরভাগ দান হিসেবে আসত। ২০০৯-১০ অর্থবছরের দিকে গিয়ে অনুদান এসেছে ৩০ শতাংশের মতো, ৭০ শতাংশের মতো এসেছে ঋণ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুদান আসছে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের মতো, আর ৯৫ শতাংশই এসেছে ঋণ হিসেবে। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিন্তু এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে অনুদান আরও কমে গেছে, ২-৩ শতাংশের মধ্যে রয়েছে, ৯৭ শতাংশেই আসছে ঋণ হিসেবে। আমরা আর দানের ওপর নির্ভর করছি না। আমরা আমাদের নিজস্ব দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমরা ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে কোন দিনই খেলাপী হইনি। এটা একটা বড় সাফল্য। তিনি বলেন, ১৯৯৭-৯৮ সালে আমাদের (বৈদেশিক সহায়তার) অর্থছাড় ছিল ৭৪৮ মিলিয়ন ডলার, তখন আমাদের জিডিপির ৩০ দশমিক ৪৭ শতাংশ ছিল ঋণের পরিমাণ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের অর্থছাড় হচ্ছে সাত হাজার ১২১ মিলিয়ন ডলার, কিন্তু এটা আমাদের জিডিপির মাত্রা ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এরমধ্যে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ অনেক বেড়ে গেছে। এত টাকা বাড়ার পরও জিডিপির সঙ্গে এর অনুপাতটা অনেক কমে এসেছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের ৪৪ হাজার ২৩ মিলিয়ন ডলার। এটা জিডিপির ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ঋণের মধ্যে ৩৭ শতাংশ বিশ্বব্যাংকের, ২৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ এডিবির, জাপানের জাইকার ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ, চীনের ৬ দশমিক ৮১, রাশিয়ার ৬ দশমিক ১৪, ভারতের এক দশমিক ৩ এবং অন্যান্য ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এই হচ্ছে আমাদের বৈদেশিক ঋণ। ১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে আমাদের এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী) পাঁচ হাজার ১০৩ কোটি টাকা ছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর মধ্যে বৈদেশিক সাহায্য ছিল তিন হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। এর মানে এডিপির ৬৩ শতাংশ ছিল বৈদেশিক সহায়তা। ২০০৯-১০ অর্থবছরে এডিপির বরাদ্দ ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বৈদেশিক সহায়তা ছিল ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমাদের এডিপি হচ্ছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, বৈদেশিক সাহায্য আসছে ৫১ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। বৈদেশিক সাহায্য বেড়েছে কিন্তু শতকরা হার নেমে এসেছে ২৯ দশমিক ২৫-এ। আমাদের নিজস্ব বিনিয়োগ এত বেড়েছে যে, বাইরের ঋণ এলেও এটা শতাংশের হারে অনেক নিচে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের ঝুঁকি নেই। বৈদেশিক ঋণ যখন জিডিপির ৪০ শতাংশ বা এর বেশি হয়ে যায় তখন ঝুঁকি থাকে। আমাদের জিডিপির তুলনায় বৈদেশিক ঋণ হলো ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আমরা অনেক সেফটিতে আছি আল্লাহর রহমতে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করছি জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০ শতাংশ পর্যন্ত সেফটি রেঞ্জ। আমরা অনেক নিচে আছি। জরিমানায় কাজ না হলে মাস্ক পরা নিশ্চিতে আরও কঠোর শাস্তি ॥ কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) মহামারীর মধ্যে জনগণকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে জরিমানায় কাজ না হলে শাস্তি আরও কঠোর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় কোন বিষয় উঠে এসেছে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আবারও মাস্কের বিষয়টি খুবই শক্তভাবে এসেছে। রোববার বিভাগীয় কমিশনাররা জানিয়েছেন, গত সাত দিন ধরে তারা বড় ধরনের জরিমানা করছেন। রবিবারও কয়েক হাজার লোককে জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বলেছি আরও এক সপ্তাহ দেখতে। জরিমানায়ও যদি মানুষ সচেতন না হয় তাদের আরও বুঝান। তারপর আরেকটু কঠোর শাস্তিতে যেতে হবে। ঢাকায় গতকাল ৩৭টি জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। কারাবাসের সাজা দেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দেখা যাক। হয়ত ফাইনও বাড়িয়ে দেয়া হতে পারে। এখন হাজার টাকা, ৫০০ টাকা ফাইন করছে সেটা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করে দিতে পারে। আমরা কঠোর শাস্তি প্রদান করতে বলেছি। যারা মোবাইল কোর্ট করবেন তারা মাস্কও সঙ্গে নিয়ে যাবে। যাতে মানুষকে ফাইন করার সঙ্গে সঙ্গে মাস্কও দিয়ে দেয়া যায়। গতকাল কমিশনার কনফারেন্সে ধর্ম ও শিক্ষা সচিবও ছিলেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও বড় ধরনের প্রচারণার জন্য তাদের বলে দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে রোগী বেড়ে গেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা থেকে মনে হচ্ছে যে, এটা (কোভিড-১৯) আরেকটু বেড়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরও বেশি বেশি করে প্রচার কর, ফোর্স কর যাতে মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে। মাস্ক ব্যবহার না করলে যতই ভ্যাকসিন বলেন আর ওষুধ বলেন প্রোটেকশন কোন কাজে আসবে না। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনে আইন চূড়ান্ত অনুমোদন ॥ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট নামের একটি আইন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পীদের একটি কল্যাণ ট্রাস্ট আইন করা যায় কিনা। এরপর তথ্য মন্ত্রণালয় আইন প্রণয়ন করে এবং এর আগে মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যারা এই আইনের অধীনে আসবেন তারা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আইনের সুবিধা পাবেন না। যে কোন এক জায়গায় সে নিবন্ধিত থাকবে এবং সেই ডাটা বেজ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাবেন। ট্রাস্ট পরিচালনায় একটা বোর্ড থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন তথ্যমন্ত্রী। বোর্ডের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকবেন, তিনি সরকার থেকে মনোনীত হবেন। বোর্ডের কাজ তুলে ধরে তিনি বলেন, তাদের কাজ হবে চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণ সাধন, চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, অসমর্থ-অস্বচ্ছল বা পেশাগত কাজ করতে অক্ষম চলচ্চিত্র শিল্পীকে প্রয়োজনীয় শিল্পীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, অসুস্থ চলচ্চিত্র শিল্পীদের চিকিৎসার ব্যয় গ্রহণ, দুস্থ-অস্বচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পীদের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে সহায়তা করা। করোনায় সরকারী চাল পেয়েছে এক কোটি ৬ হাজার পরিবার ॥ করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারী ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এক কোটি ৬ হাজার পরিবার সরকারী ত্রাণের চাল পেয়েছে। করোনা মহামারী চলাকালীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিডের সময় কী কী দেয়া হলো এবং এরপর আবার অসুবিধা হলে কী করবে সে বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। তিনি বলেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস মোকাবেলার সময় বেশকিছু নিরাপত্তা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছে। দুই লাখ ৩৫ হাজার ৪২৭ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছে। ১০০ কোটি ৯৬ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকার ত্রাণ দেয়া হয়েছে। শিশুখাদ্য কিনতে ২৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য কিনতে দেয়া হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ঢেউটিন দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ বান্ডিল। গৃহ নির্মাণের জন্য দেয়া হয়েছে এক কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এক লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) চাল এক কোটি ৬ হাজার ৮৬৯টি পরিবারের মাঝে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে এক লাখ ৯৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। কোভিড ও আম্ফান মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ১৭ হাজার ৫টি দুর্যোগ সহনীয় গৃহ উদ্বোধন করেছেন, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে দেয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি আরও বলেন, এছাড়া রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩২ হাজার ২০০টি দুর্যোগ সহনীয় গৃহ বাবদ ৫৫০ কোটি ৬২ লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাত মোকাবেলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
×