ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তদন্তে উঠে এসেছে অজানা তথ্য

১০ হাজার রোহিঙ্গার হাতে জাতীয় সনদ

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২৮ অক্টোবর ২০২০

১০ হাজার রোহিঙ্গার হাতে জাতীয় সনদ

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ নির্বাচন কমিশনের এত বেশি কড়াকড়ি সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা জাতীয় পরিচয়পত্র পায় কি করে। এই প্রশ্ন খোদ নির্বাচন কর্মকর্তার। এ নিয়ে গঠিত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। দালালদের হাত ধরে অন্তত ১০ হাজার রোহিঙ্গা জাতীয় সনদ হাতিয়ে নিয়েছে। জানা যায়, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেয়ার ইস্যুর কাজে জড়িত রয়েছে পুরনো রোহিঙ্গা নেতাসহ স্থানীয় একাধিক দালাল। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত তদন্ত টিম তাদের বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে। এই কমিটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিবেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের আগে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জাতীয় সনদ হাতে পেয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছে। ওইসব রোহিঙ্গা নিজেদের বাংলাদেশী নাগরিক দাবি করছে। যেমনটি দাবি করছে ক্যাম্পের বাইরে থাকা জাতীয় সনদধারী ১০ হাজার রোহিঙ্গা। তারা নিজেদের নামে জমি কিনে দালান কোটা নির্মাণ শেষে স্থানীয় হিসেবে বসবাস করে চলেছে। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াকিবহাল মহল। সূত্র মতে, ১৯৭৮ সালে বিএনপি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ও ১৯৯২ সালে খালেদা জিয়ার শাসনামলে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। কক্সবাজারের রোমালিয়াছড়া, তারাবুনিয়াছড়া, পাহাড়তলী, পেশকারপাড়া, কলাতলী এলাকায় অন্তত ১০ হাজার রোহিঙ্গা ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। তারা হাতিয়ে নিয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র।
×