ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ

ফাইনালে মুখোমুখি নাজমুল-মাহমুদুল্লাহ একাদশ

প্রকাশিত: ০১:০১, ২২ অক্টোবর ২০২০

ফাইনালে মুখোমুখি নাজমুল-মাহমুদুল্লাহ একাদশ

মোঃ মামুন রশীদ ॥ আড়াই ঘণ্টার বেশি বৃষ্টি, তারপরেও খেলার দৈর্ঘ্য তেমন কমেনি। তবে ৪১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচটায় বৃষ্টি তামিম একাদশের জন্য অনেকভাবেই আশীর্বাদ বয়ে আনে। তবু ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৭ রানে হেরেছে তারা লো-স্কোরিং ম্যাচে। এই হারে বিদায় নিয়েছে তামিমরা ৪ ম্যাচের ৩টিতেই হেরে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ থেকে। বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাউন্ড রবিন লীগের শেষ ম্যাচে জিতলেই শুধু ফাইনালে যেত তামিম একাদশ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৩৯.৩ ওভারে ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায় নাজমুল একাদশ। তিনি ৫ উইকেট নেন। বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য কমে ১৬৪ রান হয়। কিন্তু তাসকিন আহমেদ ৪ উইকেট নিয়ে ধস নামালে তামিমরা ৪০.৪ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৫৬ রানে। তারা হেরে যাওয়ায় ৪ পয়েন্ট নিয়ে মাহমুদুল্লাহ একাদশ ও ৬ পয়েন্ট নিয়ে নাজমুল একাদশ ফাইনাল নিশ্চিত করল। শুক্রবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে তারা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যস্ত হয় নাজমুল একাদশ, মাত্র ২৫ রানেই হারায় ৩ উইকেট। তবে ১৫ ওভার শেষে তুমুল বৃষ্টি নামার আগে মুশফিক ও আফিফ হোসেন ধ্রুব প্রতিরোধ গড়েছিলেন। আড়াই ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নামিয়ে আনা হয় ৪১ ওভারে। মুশফিক-আফিফের চতুর্থ উইকেট প্রলম্বিত হয় ২৯তম ওভার পর্যন্ত। তাদের ৯০ রানের জুটি ভাঙ্গে সাইফউদ্দিন বোলিংয়ে ফিরে ৭৫ বলে ৫১ রান (৩ চার, ১ ছক্কা) করা মুশফিককে শিকার করলে। আফিফও ৬১ বলে ৪ চারে ৪০ রানে মেহেদি হাসানের অফস্পিনে বোল্ড হয়ে যান। এরপর শুরু হয় সাইফউদ্দিন-মুস্তাফিজের পেস তা-ব। ফলে ৩৬ রানেই শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৯.৩ ওভারে নাজমুলরা গুটিয়ে যায় ১৬৫ রানে। ভয়ানক ছিলেন সাইফউদ্দিন, তিনি শেষ ১৫ বলে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। ২৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে চলমান আসরের সেরা বোলিং নৈপুণ্য দেখান তিনি। মুস্তাফিজ ৩৬ রানে ৩ ও মেহেদি ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন। বৃষ্টি আইনে তামিম একাদশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৪ রান। ফাইনালে উঠতে জয়ের বিকল্প নেই দলটির। বোলারদের দারুণ সাফল্যে স্বল্প রানের এই লক্ষ্য পেয়েও দলীয় ১০ রানে ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে (৭) হারায় তারা। তবে এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৮ রানের দারুণ জুটি গড়ে তামিম দলকে জয় পাওয়ার স্বপ্নটাকে দৃঢ়তা দেন। অঙ্কন ২২ করার পর রানআউটে ফিরলেও দুর্দান্ত খেলতে থাকা তামিম চলতি আসরে প্রথম অর্ধশতক পেয়ে যান ৭৭ বলে। তবে এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, সাজঘরে ফিরেছেন ৮৫ বলে ৬ চারে ৫৭ রান করে। এরপর তাসকিনের দুরন্ত বোলিংয়ে আর লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি তামিম একাদশ। শুধু মোহাম্মদ মিঠুন ৩২ বলে ১ ছক্কায় ২৯ রান করেছিলেন। বাকিদের ব্যর্থতায় ২ বল বাকি থাকতেই তামিমরা গুটিয়ে যায় ১৫৬ রানে। তাসকিন ৪ উইকেট নেন। ৭ রানে হেরে বিদায় নেয় তামিম একাদশ। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে নাজমুল একাদশ ও ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে মাহমুদুল্লাহ একাদশ ফাইনালে উঠেছে। ম্যাচে মুশফিকুর রহিম সেরা ব্যাটসম্যান, সাইফউদ্দিন সেরা বোলার ও তামিম সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেয়েছেন। সংক্ষিপ্ত স্কোর ॥ নাজমুল একাদশ ইনিংস- ১৬৫/১০; ৩৯.৩ ওভার (মুশফিক ৫১, আফিফ ৪০; সাইফউদ্দিন ৫/২৬, মুস্তাফিজ ৩/৩৬, মেহেদি ২/৩৪)। তামিম একাদশ ইনিংস- ১৫৬/১০; ৪০.৪ ওভার (তামিম ৫৭, মিঠুন ২৯, তাসকিন ৪/৩৬)। ফল ॥ বৃষ্টি আইনে নাজমুল একাদশ ৭ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ তাসকিন আহমেদ (নাজমুল একাদশ)।
×