জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে এক শিক্ষক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মৌলবি মোজাম্মেল হক পলাতক রয়েছে। এদিকে কক্সবাজারের রামুতে এক বাকপ্রতিবন্ধী এবং চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া ঢাকার ধর্ষণবিরোধী ছাত্রনেতা বরিশালে ছাত্রী ধর্ষণ করে এখন জেলে। বাগেরহাটে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার আরও এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। ফেনীতে আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রিয়াজ ও ছোটন নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ও মঙ্গলবার এসব তথ্য জানা গেছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মির্জাপুর ইউনিয়নের কাগুজিআটা গ্রামে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রশিদের ছেলে এনামুল, মুনছুর আলী ছেলে জালাল, আব্দুল খালেক, শুক্কুর আলীর ছেলে আলতাব হোসেন সোমবার রাতভর গণধর্ষণ করে মঙ্গলবার ভোরে মোহনপুর যমুনা নদীর ঘাটে ছাত্রীকে ফেলে রেখে যায়।
ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী জানান, কাগুজিআটা গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও এনামুল বিভিন্ন সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। সোমবার সন্ধ্যায় সে মোহনপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শফিকুল, এনামুল, জালাল, খালেক, আলতাব তার মুখ বেঁধে নৌকায় তুলে যমুনা নদী তীরবর্তী শফিকুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে আটকে রেখে তারা পাঁচজন মিলে রাতভর গণধর্ষণ করে। পরে মঙ্গলবার ভোরে নৌকাযোগে মোহনপুর নদীর ঘাটে এসে ফেলে রেখে যায় তাকে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান মেয়েটি। বর্তমানে মেয়েটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাঁশখালীতে ছাত্রী ধর্ষিত ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের সিন্ধিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শিক্ষকের (হুজুর) কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় চাম্বল সিন্ধিপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় কোরান শিক্ষা নিতে গিয়ে শিক্ষকের হাতে ছাত্রীটি (১০) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণকারী মৌলবি মোজাম্মেল হক চাম্বল সিন্ধিপাড়া ৪নং ওয়ার্ড এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক শিক্ষক মোজাম্মেল হক পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ছাত্রীটির মা হোসনে আরা বাদী হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
রামুতে বাকপ্রতিবন্ধী ও শিশু ছাত্রী ধর্ষিত ॥ রামু দক্ষিণ মিঠাছড়িতে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী এবং কচ্ছপিয়ায় বাকপ্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
ফকিরহাটে গ্রেফতার ১ ॥ বাগেরহাটের ফকিরহাটের লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া-মাইট কুমড়া গ্রামে এনজিও কর্মীকে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার আরও এক অভিযুক্ত মুসা নিকারী ওরফে ইব্রাহিমকে (৩০) রাতে চুলকাঠি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সে ভট্টবালিয়াঘাটা গ্রামের মুজিবর নিকারীর ছেলে। এ পর্যন্ত ওই মামলায় দুজন গ্রেফতার হলো।
ধর্ষণবিরোধী ছাত্রনেতা ধর্ষণ করে জেলে ॥ ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনকারী তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা সাজ্জাদ গাজীকে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ফেনীতে দুজন গ্রেফতার ॥ ফেনীতে এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রিয়াজ ও ছোটন নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রিয়াজ রিক্সাচালক আর ছোটন সেলুন কর্মচারী। পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে দুজনকে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিাস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। রিয়াজ ও ছোটন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। পরে আদালতে দুজনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সৎমাকে ধর্ষণচেষ্টা, লম্পট গ্রেফতার ॥ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির নাওডাঙ্গা গ্রামে সৎমাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে লম্পট ছেলে মিজানুর রহমানকে (২৩) পুলিশ মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে। সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী ফুলবাড়ি থানায় মামলা করেন। এর আগে সৎমাকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: