ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকটি আজিমপুর শিশু নিবাসে ঠাঁই হলো

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ১৮ অক্টোবর ২০২০

কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকটি আজিমপুর শিশু নিবাসে ঠাঁই হলো

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর খিলক্ষেতে সড়কের কুড়িয়ে পাওয়া সেই নবজাতক অবশেষে আজিমপুর শিশু নিবাসে ঠাঁই হলো। রবিবার দুপুরে শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে সমাজসেবা অধিদফতরে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডাঃ রেজওয়ানুল আহসান বিপুল জানান, দুপুর ১২ টার দিকে সমাজসেবা অধিদফতরের কাছে নবজাতককে হস্তান্তরক করা হয়। সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ভূঁইয়া শিশুটিকে গ্রহন করেন। ডা. বিপুল জানান, ঢাকা শিশু হাসপাতালে নবজাতককে ভর্তি করার পর থেকেই আমাদের কাছে প্রচুর ফোন আসে দত্তক নেয়ার জন্য। কিন্তু আমরা নিয়মানুযায়ী নবজাতককে সমাজসেবা অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ আবাসিক চিকিৎসক বলেন, মোঃ আল হোসাইন নামকরণ করা ওই নবজাতককে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন ওজন ছিল দুই কেজি ৬০০ গ্রাম। এখন তার ওজন ২ কেজি ৯০০ গ্রাম, শারীরিকভাবে মোটামুটি সুস্থ নবজাতকটি। সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান, অধিদফতর নিয়ন্ত্রিত আজিমপুর শিশু নিবাসে শিশুটিকে রাখা হবে। খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হাবিব জানান, বুধবার বিকেলে নিকুঞ্জ-১ নম্বর গেট সংলগ্ন সড়কে পড়ে থাকা একটি কাপড়ের ব্যাগের ভেতর লাল কাপড় দিয়ে মোড়ানো দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় নবজাতকটিকে দেখতে পায় পথচারীরা। সেখানে ভিড় দেখে উপস্থিত হন পুলিশের একজন সার্জেন্ট। পরে তিনি নবজাতকটিকে কুর্মিটোলা নিয়ে গেলে সেখানে করোনার ইউনিটের কারণে ভর্তি নেয়া হয়নি। পরে তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে নবজাতকটি আবাসিক চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডাঃ রিজওয়ানুল হাসান বিপুলের তত্ত্বাবধানে ছিল। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, সে ভালো আছে। এসআই মঞ্জুরুল হাবিব জানান, ব্যাগের ভেতর ওই নবজাতককে কে বা কারা রাস্তায় ফেলে গেছে, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে আশ-পাশের লোকদের কাছে আমরা জানতে পেরেছি কোনো একটি প্রাইভেটকার থেকে কাপড়ের ব্যাগটি সেখানে ফেলে গেছে। বিষয়গুলো আসলে কতটুকু সত্য সবকিছু নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া ওই নবজাতকটিকে দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে তার জন্ম হয়েছিল।
×