ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত ঘোষিত সেই নবজাতক এখন ঢামেকের ইনটেনসিভ কেয়ারে

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ১৮ অক্টোবর ২০২০

মৃত ঘোষিত সেই নবজাতক এখন ঢামেকের ইনটেনসিভ কেয়ারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দাফন করার ঠিক আগ মুহূর্তে জীবিত উদ্ধার নবজাতক মরিয়ম এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) চিকিৎসাধীন। নিবিড় যতœ ইউনিট কাঁচের ঘরে মুখে অক্সিজেন লাগানো অবস্থায় হাত-পা নাড়ছে নবজাতক শিশুটি। আগের চেয়ে শিশুটি অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও সে শঙ্কামুক্ত নয়। প্রতিটি মূহূর্তে ঝুঁকির মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা আশাবাদী। তারা বলেছেন, শিশুটি ওজন এক কেজিরও কম। শিশুটি অপরিণত। তেমন উন্নতি হয়নি। এ ঘটনায় গঠিত চার সদস্যের তদন্ত শনিবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসেছেন। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, শুক্রবার ভোরে নবজাতকটি জন্মের পর কোন কান্নাকাটি ও নড়াচড়া করেনি। চিকিৎসকরা হার্টবিটও পাচ্ছিলেন না। অনেক চেষ্টাতেও রেসপন্স পাচ্ছিলেন না। তারপর তারা অক্সিজেন দিয়েও রাখেন। এরপর মৃত ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়। পরে সকালে নবজাতকের বাবা তাকে দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে যান। পরিচালক জানান, ঘটনাটি মিরাকল। তবে মেডিক্যাল সায়েন্সে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক জায়গাতেই ঘটেছে। তবে আমরা দেখব কারও কোন অবহেলা ছিল কি না। তিনি জানান, কয়েকমাসে আমাদের এখানে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় ওই চিকিৎসককে আমরা ঢামেক হাসপাতালে কাজ করতে দেইনি। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। শনিবার দুপুরে চার সদস্যের তদন্ত কমিটির সঙ্গে বসেছিলাম। সমস্যাটা কোথায় ছিল বের করার চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষে কারও গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, কেন জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে ? কার গাফিলতি আছে ? এটাই বের করার জন্য শুক্রবার রাতে নবজাতক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মনীষা ব্যানার্জীকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হচ্ছেন, গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ শিখা গাঙ্গুলি, এ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সুব্রত কুমার মণ্ডল ও হাসপাতালের সহকারী (প্রশাসন)। ঢামেকের নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মনীষা ব্যানার্জী জানান, সময় হওয়ার আগেই শিশুটির জন্ম হয়েছে। ওজন খুব কম। সেদিক থেকে ঝুঁকি আছে। তবে তার উন্নত চিকিৎসা চলছে। শিশুটিকে মৃত ঘোষণা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ মনীষা জানান, এ বিষয়ে এখনও বলার সময় আসেনি। আমরা দেখছি কী হয়েছিল। এদিকে শিশুটি মা শাহিনূর বেগম উচ্চ রক্তচাপসহ বেশকিছু শারীরিক জটিলতায় সমস্যায় ভুগছেন। নবজাতক মরিয়মের বাবা ইয়াসিন মোল্লা জানান, সকালে আমার মেয়ের খোঁজ নিয়েছি। তবে কাছে যেতে পারিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমার সন্তান ভাল আছে। চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন।
×