ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুইদিন পতনের পর শেয়ারবাজারে সূচক বাড়ল

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ১৩ অক্টোবর ২০২০

দুইদিন পতনের পর শেয়ারবাজারে সূচক বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা দুই কার্যদিবস বড় দরপতনের পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বিমা খাতের কোম্পানিগুলোকে মার্জিন ঋণ বন্ধের গুজবের অস্থিরতার সারাদিনই দেখা গেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দিনের লেনদেন শেষে মূল্য সূচকের উত্থান হলেও এদিন লেনদেনের শুরুর দিকে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে ঘুরতে থাকে শেয়ারবাজার। বাড়তে থাকে লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। এতে বড় উত্থানের আভাস মেলে। এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। তবে শেষ আধাঘণ্টার লেনদেনে আবার বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। ফলে আটকে যায় সূচকের বড় উত্থান। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগে সোমবার সূচকটি ৪৮ পয়েন্ট কমে। তার আগের দিন রোববার কমে ৫৮ পয়েন্ট। ফলে দুই দিনের টানা পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমে ১০৬ পয়েন্ট। টানা পতনের পর প্রধান সূচকের পাশাপাশি উত্থান হয়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচকের এই উত্থানের দিনে ডিএসইতে অংশ নেয়া ১৮৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে কমেছে ৯৮টি এবং ৭৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সূচকের উত্থান হলেও লেনদেনে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। প্রায় আড়াই মাস পর বা ৩০ জুলাইয়ে পর ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এদিন বাজারে লেনদেন হয়েছে ৫৮৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৯৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১০৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওয়ালটন। অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯০ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০টির দাম বেড়েছে। কমেছে ৮৮টির এবং ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×