ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উন্নত দেশেও সংবাদপত্রের ‘এমন স্বাধীনতা নেই’ ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

উন্নত দেশেও সংবাদপত্রের ‘এমন স্বাধীনতা নেই’ ॥ তথ্যমন্ত্রী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলদেশের সংবাদমাধ্যম যে ‘স্বাধীনতা’ ভোগ করে, অনেক উন্নত দেশেও ‘ততটা নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ‘মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার, দৈনিক আজাদী এবং গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক সেমিনারে মন্ত্রীর এমন মন্তব্য আসে। খবর বিডিনিউজের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনাকে ‘সমাদৃত করার সংস্কৃতি’ লালন করেন। আওয়ামী লীগ ‘মনে করে’, সমালোচনা পথ চলাকে শাণিত করে। ‘সমালোচনা কাজকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। সেজন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের বিকাশের নীতি নিয়ে আমাদের সরকার কাজ করছে।’ দেশে সংবাদমাধ্যমের ‘এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথ’ হয়েছে এবং সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশের সংবাদপত্র যে ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে অনেক উন্নত দেশেও কিন্তু সংবাদপত্রের এমন স্বাধীনতা নাই। যুক্তরাজ্যের ১৬৭ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর দৃষ্টান্ত টেনে তিনি বলেন, ‘একটি ভুল সংবাদ পরিবেশনের কারণে মামলা হয়েছিল। মামলার পর তাদের ওপর বিরাট জরিমানা করেছে আদালত, সেই জরিমানা দিতে না পেরে কোম্পানি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। একজন এমপির বিরুদ্ধে ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে বিবিসির পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।’ যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে ভুল ও অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে পত্রিকা ও গণমাধ্যমকে ‘হরহামেশা’ জরিমানা দিতে হয় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সেটি কখনও হয়নি। সংবাদপত্র এ সমস্ত কারণে বন্ধ হয়নি। ‘সেজন্য বলছি অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে।’ সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরে মাত্র কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল, সবগুলো সরকার নিয়ন্ত্রিত। থাইল্যান্ডে সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলের ফিড সরকার নিয়ন্ত্রিত। ‘সেখানে যদি সরকারের অপছন্দের কোন কন্টেন্ট থাকে, সেটা বাদ দেয়া হয়। আমাদের দেশে তা হয় না। কারণ আমরা মনে করি স্বাধীন মতপ্রকাশ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সেটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করে।’ দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি’ এই সেমিনারের আয়োজন করে। সমিতির সভাপতি এসএম জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
×