ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেশবপুরে অসময়ের তরমুজ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

কেশবপুরে অসময়ের তরমুজ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুরে অসমমের তরমুজ চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষি বিভাগ গত বছর গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষের প্রকল্প শুরু করে। প্রথম বছর মাত্র একজন কৃষক চাষ করলেও এবছর প্রায় ৩০ জন কৃষক অসময়ের তরমুজ আবাদ করেছেন। উৎপাদন ভাল এবং অসময়ে তরমুজের দাম বেশী পাওয়ায় কৃষকরা গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। চলতি বছর উপজেলার ঝিকরা গ্রামের শিক্ষিত যুবক ইমরান হোসেন অসময়ে (গ্রীষ্মকালিন) তরমুজ আবাদ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের দিকনির্দেশনায় তিনি ২৬ শতক জমিতে ব্লাকবেরি জাতের তরমুজ আবাদ করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন। তার ক্ষেতের তরমুজের ফলন দেখে ওই এলাকার অনেক যুবক এ আবাদে ঝুঁকেছেন। এছাড়া উপজেলার আলতাপোল গ্রামের জগন্নাথ রায় প্রায় এক বিঘা জমি পাকিজা জাতের অসময়ের তরমুজ চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের প্রায় ২৫ জন মাছের ঘের ব্যবসায়ী কৃষক তাদের ঘেরের পাড়ে বাঁধের ওপর এই তরমুজের চাষ করেছেন। ফলে উপজেলায় গ্রীষ্মকালিন তরমুজ আবাদের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, আমাদের দেশের আবহাওয়ায় গ্রীষ্মকালিন তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এই তরমুজের উৎপাদিত সময়ের তরমুজের চেয়ে বেশী। খেতেও সুস্বাদু। লাভ বেশি হয়। এক বিঘা জমিতে খরচ এক লাখ টাকা। উৎপাদিত তরমুজ বর্তমান বাজার দরে বিক্রি হয় প্রায় ৩/৪ লাখ টাকা। এছাড়া কেশবপুর জলাবদ্ধ এলাকা হওয়ার কারণে প্রায় সব এলাকায় মাছের ঘের হয়ে গেছে। কৃষকরা মাছের ঘেরের বাঁধের ওপর অসময়ের তরমুজ চাষ করে ভাল লাভবান হতে পারবেন। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বিভিন্ন তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, আমরা খুবই আশাবাদি অসময়ের তরমুজ চাষে। আমি নিজে বিভিন্ন তরমুজ ক্ষেত দেখতে গিয়েছি। কৃষকদের আমি উৎসাহ দিয়ে এসেছি যাতে তারা বেশী বেশী করে অসময়ের তরমুজ চাষে আগ্রহ হন। এ আবাদ উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কৃষি কর্মকর্তাকে অনুরোধও করেছি।
×