ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মেজর সিনহা হত্যা ॥ ৪ পুলিশসহ ৭ জন সাত দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ১২ আগস্ট ২০২০

মেজর সিনহা হত্যা ॥ ৪ পুলিশসহ ৭ জন সাত দিনের রিমান্ডে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় চার পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীর প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কক্সবাজার আদালতের পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপসহ তিন আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। বাকি চার পুলিশ সদস্যকে দু’দিন ধরে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে গত সোমবার নতুন করে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। একইভাবে মঙ্গলবার পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করে তাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। এ দুটি আবেদনের শুনানি ছিল আজ বুধবার। আদালত আবেদন দুটির শুনানি শেষে প্রত্যেককে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি কনস্টেবল সাফানুল করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়াকে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই এ ঘটনায় সঙ্গে পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিনকেও সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ ও দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় জনকে আসামি করে সিনহার বোন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নয় পুলিশ সদস্যকেই বরখাস্ত করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫। ওই মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড ও অন্য আসামিদের দুদিন করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি এখনও কারাগারে রয়েছে। একই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ৯ আগস্ট সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও ১০ আগস্ট সাহেদুল ইসলাম সিফাত জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
×