ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাহিনীর সম্পর্কে চিড় ধরবে না

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ৬ আগস্ট ২০২০

সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাহিনীর সম্পর্কে চিড় ধরবে না

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যার বিচার চেয়ে টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় বাহারছরা তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘সিনহা’র মৃত্যুর ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ মর্মাহত। তদন্ত কমিটির ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশের আস্থা আছে। এ ঘটনার দায় ব্যক্তির, কোন প্রতিষ্ঠানের নয়।’ আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেছেন, কোন উস্কানিতে দুই বাহিনীর সম্পর্ক নষ্ট হবে না। বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান ও আইজিপি। আদালত সূত্রে জানা যায়, দায়েরকৃত হত্যা মামলায় টেকনাফের বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে বুধবার বেলা ১১টায় এ মামলাটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-নং-৩ (টেকনাফ) মামলাটি ফাইল করা হয়। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে সাতদিনের ভেতর আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও র‌্যাব-১৫এর কমান্ডারকে মামলার তদন্ত করতে আদেশ দিয়েছেন। মামলার প্রধান কৌঁসুলি সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় সকালে কক্সবাজারে পৌঁছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। বুধবার দুপুর পৌনে একটার দিকে একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সৈকতের বালিয়াড়ি লাগোয়া সেনাকল্যাণ ট্রাস্টের রেস্ট হাউস ‘জল তরঙ্গে’ প্রেসব্রিফিং করেন। সেনা প্রধান বলেছেন, টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব:) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের মৃত্যুকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চায় সেনাবাহিনী। বুধবার কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ মর্মাহত। তদন্ত কমিটির ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশের আস্থা আছে। এ ঘটনার দায় ব্যক্তির, কোন প্রতিষ্ঠানের নয়।’ এর আগে, বুধবার অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় টেকনাফের আদালতে হত্যা মামলা করেছে সিনহার পরিবার। ঘটনার দিন উপস্থিত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন নিহত রাশেদের বোন শারমিন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক তামান্না ফারাহ টেকনাফ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে র‌্যাবকে। সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ॥ সেনাবাহিনীর প্রধান আজিজ আহমেদ বলেছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যার ঘটনার তদন্তে যাদের নাম আসবে, তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আমরা ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করব। গঠিত তদন্ত কমিটি সেভাবে কাজ করছে। বুধবার দুপুরে কক্সবাজারে যৌথ প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। যে ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী মর্মাহত। সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে সেনাপ্রধান বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে যে মেসেজ দিতে চাই। তা হলো এটাকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই। সেনাপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি ‘জয়েন্ট ইনকোয়ারি টিম’ (যৌথ তদন্ত দল) গঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মেজর রাশেদ খানের মাকে ফোন করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। তার কথার ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর আস্থা আছে। যে যৌথ তদন্ত দল গঠিত রয়েছে, তার ওপরও দুটি বাহিনীই আস্থাশীল। আইজিপি বেনজীর আহমেদ ॥ প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে সাবেক সেনা অফিসার খুনের ঘটনায় দুই বাহিনীর মধ্যে কোন প্রভাব ফেলবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত যৌথ তদন্ত কমিটি প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত করবে। তারা যে প্রতিবেদন দিবেন সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে আইনের শাসন আছে। সংবাদমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। বিচার বিভাগ মুক্ত। এ ঘটনা নিয়ে অনেকে উস্কানিমূলক কথা বলার চেষ্টা করছেন। যারা উস্কানি দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক। মেজর (অব.) সিনহার মৃত্যুতে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন ব্যত্যয় হবে না। কমিটি প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত করবে। কমিটি যে সুপারিশ দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশাসনের মাদকবিরোধী স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে আইজিপি বলেন, এলাকায় কারা মাদক ব্যবসা করে, কারা মাদক পাচারে জড়িত সবাইকে আপনারা জানেন। আপনারা এই এলাকার মানুষ। তাদের চিহ্নিত করে দিয়ে প্রশাসনকে চাইলে সহযোগিতা করতে পারেন। মেজর রাশেদ নিহতের ঘটনায় আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ঘটনাটিকে পুঁজি করে অনেকেই উস্কানিমূলক কথা বার্তা বলছে। এসব বলে তারা সফল হতে পারবে না। কারণ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক রয়েছে। যারা বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলে দুই বাহিনীর মধ্যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন তারা কখনও সফল হবে না। দেশের স্বার্থে এ ধরনের কোন কথা বার্তা না বলার অনুরোধ জানান আইজিপি। এর আগে বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বিমানবন্দর হয়ে কক্সবাজার সৈকতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর রেস্ট হাউস জলতরঙ্গে এসে পৌঁছে যৌথ টিম। সেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি গোলাম মোঃ ফারুক, এডিশনাল ডিআইজি মোঃ জাকির হোসেন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তারা। সিনহা হত্যা মামলার ৯ আসামি ॥ মামলায় আসামিরা হচ্ছেন টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল, কনস্টেবল মোঃ মোস্তফা। এরা সকলেই টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ওইদিন রাতে কর্মরত ছিলেন। টেকনাফ থানার ওসি প্রত্যাহার ॥ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি মেজর সিনহার বড় বোন শারমিনের দায়ের করা মামলার ২নং আসামি। ওসি প্রদীপের স্থলে ওসি তদন্ত এবিএস দোহাকে টেকনাফ থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি জানান, এসপির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবার মতো কিছু পায়নি মন্ত্রণালয়। বিষয়টি তদন্তাধীন, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। তদন্ত দলের দ্বিতীয় দিন ॥ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল দ্বিতীয় দিনও তাদের তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। তদন্ত দলের প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেভাবেই আমাদের কাজ চলছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ খান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। একইভাবে তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে সিনহা হত্যাকারীদের ফাঁসি কার্যকর করুন, রাওয়া ॥ সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংগঠন রাওয়া (রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন) পক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করে মেজর সিনহা হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে রাওয়া হেলমেট হলে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মেজর (অব.) খন্দকার নুরুল আফসার। তিনি বলেন, রাশেদ খানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিচার কাজ দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করতে হবে এবং তা তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। তিনি অবিলম্বে সিনহা হত্যার সকল আসাফমকে মামলার স্বার্থে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানোর দাবি জানান। পাশাপাশি এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশকেও অবিলম্বে সাসপেন্ড করে অন্তরীণ রাখার দাবি জানান। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষী যারা আছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাওয়া প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা ঘটনর সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার চাই। তা না হলে আমরা আন্দোলনে যাব। আমাদের এ ধরনের আন্দোলনের কোন নজির নেই। কিন্তু একজন সহকর্মীর হত্যাকা-ের বিচারের দাবিতে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। আমাদের আন্দোলনও হবে সুশৃঙ্খল। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাবকে দিতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে রাওয়া প্রেসিডেন্ট বলেন, পুলিশ ও সিআইডি যেভাবে তদন্ত করে সেটাতো হবে। আমরা চাই র‌্যাবও এর তদন্ত করুক। নিরপেক্ষ ও প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসুক। টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক মেজর রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় বুধবার আদালতে মামলা করেছে তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। পরে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। তদন্ত করার জন্য দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছে র‌্যাবকে। বুধবার দুপুরে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে টেকনাফের আলোচিত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়। আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলা করতে নিহত রাশেদ খানের বোন শারমিন শাহরিয়াসহ পরিবারের কয়েক সদস্য বুধবার সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান। তারা প্রথমে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে যান। সেখান থেকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোঃ সিরাজুল মোস্তফার চেম্বারে পৌঁছান। সেখানে কাগজপত্র প্রস্তুত করার পর দুপুরের দিকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ টেকনাফ) এ গিয়ে মামলা করেন। মামলায় আদালতের তিন আদেশ ॥ আদালতের দেয়া আদেশে পুলিশকে বলা হয়েছে, মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে। দ্বিতীয় আদেশে বলা হয়, মামলাটি রেকর্ডের পর এলিট ফোর্স র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৫) মামলাটি তদন্ত করবে। আদালতের তৃতীয় আদেশে বলা হয়, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার অগ্রগতি আদালতকে অবহিত করতে হবে। মামলার প্রধান কৌঁসুলি সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, মামলার শুনানি শেষে সন্তুষ্ট হয়ে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন বিচারক তামান্না ফারাহ।
×