ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ২৯ জুলাই ২০২০

রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উৎপাদনের রেকর্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি রেণুপোনা উৎপাদনে ৪৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড অর্জন করেছে। হ্যাচারী সূত্রে জানা যায়, ২০২০ইং সালে জানুয়ারী মাসে উৎপাদন শুরু এবং জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার কেজি রেণু, ২২ লক্ষ পোণা ও ১ হাজার কেজি মিশ্র মাছ উৎপাদন হয় উক্ত হ্যাচারীতে। বছরের প্রথম সাত মাসে রেণু পোনা ও দেশী প্রজাতির পোণা বিক্রি বাবদ ৬১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫শত ৯৯ টাকা রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হয়। জনবল সংকটের মাঝেও এ সাফল্য অর্জন করায় সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে এ সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। জানাগেছে, গেল বছরে (২০১৯) এই প্রতিষ্ঠানটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ৩২০ টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। জনবল সঙ্কটসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব অর্জন করায় বিভাগীয় পর্যায়ে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। প্রজনন কেন্দ্রটিতে ৮১ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৯ জন কর্মচারি। হ্যাচারিতে মোট পুকুর ছিল ৭৫টি। সংস্কারের অভাবে বর্তমানে আছে ৩৬টি, বাকিগুলো ব্যবহারের অনুপযুগি হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় সাতটি গভীর নলকূপের মধ্যে দুইটি মাত্র সচল রয়েছে। এতসব প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান মজুমদারের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা, পরিশ্রম ও সততার কারণে এই উৎপাদন অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত তিন চার মাস আগে প্রজনন কেন্দ্রের পাশে তিনি নিজ উদ্যোগে লাগিয়েছেন আম, মাল্টা, আপেল, কমলা, আনার, ওমলকীসহ বেশ কিছু গাছের চারাও। এছাড়া হ্যাচারিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় চুরিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার বলেন,‘আমাদের জনবল না থাকায় হ্যাচারিতে বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য উর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’
×