ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কূটনীতিকপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত: ২৩:৫০, ২৯ জুলাই ২০২০

কূটনীতিকপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গী হামলার আশঙ্কায় ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের কূটনৈতিকপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু ও দেশের বৃহত্তম শোলাকিয়া ঈদগা ময়দানে জঙ্গী হামলার তিক্ত অভিজ্ঞতার সূত্রধরেই জোরদার করা হলো নিরাপত্তা। ইতোমধ্যেই গুলশানে নতুন করে বসানো হয়েছে কয়েক হাজার সিসি ক্যামেরা। থানাসহ প্রায় সকল স্থাপনায় সিসি ক্যামেরা বসেছে। যার অধিকাংশই পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তরফ থেকে বসানো হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ও ভারতীয় দূতাবাসে। যদিও অন্যান্য দূতাবাস ও চ্যান্সারি অফিস ঘিরেও কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই জঙ্গী হামলার আশঙ্কায় সারাদেশের পুলিশের সকল ইউনিটকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে চিঠি দেয় পুলিশ সদর দফতর। বিমানবন্দর, পুলিশের স্থাপনা, দূতাবাস এবং সব উপাসনালয়ের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে নির্দেশনা জারি করা হয়। শহর ও শহরতলি এলাকার ভাড়াটেদের তথ্য সংগ্রহ, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং মাদ্রাসা ও এতিমখানার ওপর নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) দেশে নতুন করে তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে বলে আভাস পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। জঙ্গী সংগঠনটি কথিত ‘বেঙ্গল উলায়াত’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে নাশকতামূলক কর্মকা- চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষভাবে বাংলাদেশস্থ মার্কিন, ভারত ও মিয়ানমার দূতাবাসের নিরাপত্তা বিশেষভাবে বাড়ানো হয়েছে। স্থাপনা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, শিয়া ও আহমদিয়া মসজিদ, মাজারকেন্দ্রিক মসজিদ, মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এসব জায়গায় বাড়তি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক পরিধান করে ছদ্ম বেশে যাতে জঙ্গীরা হামলা চালাতে না পারে এজন্য তল্লাশি, চেকিং ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। পুুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ কামরুল আহসান জানান, জঙ্গী গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। দূতাবাসগুলোর ওপর বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ার ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে এবার সারাদেশেই প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে গুলশানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের চ্যান্সারি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কূটনৈতিকপাড়ায় থাকা ৪৮টি দেশের দূতাবাসে নিয়মিত পুলিশের পাহারা ও টহল জোরদার করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর পুরো গুলশান কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। দূতাবাস ছাড়াও বেশকিছু স্কুল, বিদেশী অফিসেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে মিয়ানমারসহ প্রায় সব দূতাবাসের সঙ্গেই নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। সার্বিক নিরাপত্তায় দূতাবাসগুলো সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছে। গুলশানের বিভিন্ন সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
×