ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গণফোরামের বিবৃতি

গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ২৬ জুলাই ২০২০

গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া দেশে চলমান বন্যা নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম নেতৃবৃন্দ। শনিবার দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য আসে। সরকারী হিসাব অনুযায়ী দেশের প্রায় ৩১টি জেলা এখন বন্যা কবলিত। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও পূর্বাচলের জেলাগুলোতে বন্যায় থাবা সবচেয়ে বেশি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, জোয়ার না থাকলে আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব জায়গা থেকে বন্যার পানি নেমে যেতে পারে। শনিবার সচিবালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানিয়ে বলেন, এক মাস হয়ে গেল বন্যার। গত ২৬ জুন থেকে বন্যা শুরু হয়, ১১ জুলাই থেকে দ্বিতীয় দফায় পানি বাড়ে এবং ২১ জুলাই থেকে তৃতীয় দফায় পানি বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস তুলে ধরে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৬টি জেলায় আরও দুদিন বন্যার পানি বাড়বে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত পানি বাড়ার পর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সমুদ্রে জোয়ার থাকলে মধ্যাঞ্চলের পানি কমতে বিলম্বিত হতে পারে। জোয়ার না থাকলে হয়ত আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের সব জায়গা থেকে পানি নেমে যেতে পারে। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, ঢাকা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নাটোর, বগুড়া, জমালাপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল এবং নওগাঁ জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও দুদিন অবনতি হবে, তারপর পানি কমতে থাকবে বলেও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে, এটা কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা ও পদ্মার পানি বাড়তে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি কমছে। ঢাকা জেলার আশপাশের নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়তে পারে। বন্যায় ত্রাণসহায়তা তদারকি করতে ছয়টি কমিটি করার কথা জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রম মনিটরিং করবে। আগামী ২১ দিন তারা এই দায়িত্ব পালন করবে। এরা মাঠ পর্যায়ের যে কোন সমস্যা সমাধান করবেন এবং যে কোন চাহিদা পূরণে আমাদের জানাবেন, আমরা সে অনুযায়ী বরাদ্দ দেব। চলমান করোনার মহামারীর মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বন্যা। যদিও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবুও বিরোধীদের সমালোচনার তোড় যেন কিছুতেই কমছে না। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশের উত্তর অঞ্চল ও মধ্য অঞ্চলে ব্যাপক বন্যায় মানুষ সীমাহীন দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। কোন কোন অঞ্চলে এবার কয়েক দফায় বন্যা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ভয়াবহ বন্যার কারণে মানুষের ঘরবাড়ি, জমি-জমা, নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
×