ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ২৪ জুলাই ২০২০

সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। বিশেষ করে ধর্মীয় স্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও ব্যক্তিদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এবার মসজিদগুলো বাড়তি নজরদারি করতে বলা হয়েছে গোয়েন্দাদের। ঢাকা মহানগর পুলিশের তরফ থেকে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম ঈদ উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে এক বিশেষ আদেশ জারি করেছেন। আদেশে ঢাকা মহানগর পুলিশকে ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। ডিএমপির মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার প্রকৌশলী মোঃ ওয়ালিদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে কোরবানির পশুর হাটের ওপর। হাটের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকা মহানগরীর সকল বিপণি বিতান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা নির্দেশনায় বলা হয়, ঈদ যেন মানুষের উপভোগ্য হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ডিএমপির জনবল স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশী টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর তরফ থেকেও যার যার প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ঈদে বিপণি বিতানগুলোর নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যক্তিগত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া। প্রতিষ্ঠানগুলোতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা। ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে তালিকাভুক্ত ২৩৩টি শপিংমল রয়েছে। এসব শপিংমলে ঈদে ভিড় বাড়ে। এজন্য এসব শপিংমলের সামনে উত্ত্যক্তকারী, বখাটে ও মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য কমাতে তাদের সরাসরি গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের অপরাধ অনুযায়ী সাজা দিতে মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অনুপস্থিতিতে উত্ত্যক্তকারীদের গ্রেফতারের পর থানা হাজতে রাখার কথা বলা হয়েছে। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা প্রদান করবে। এছাড়া পকেটমারের ঘটনাও ঘটে মার্কেটগুলোতে। পকেটমার ও চোর ধরতে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি পুলিশ, গোয়েন্দা, কমিউনিটি পুলিশ ও মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মীরা সমন্বয় করে কাজ করছে। মহিলা পকেটমারদের গ্রেফতারে বিশেষ নজরদারি করছেন মহিলা গোয়েন্দাদের দল। শপিংমল ও শপিংমলের বিভিন্ন দোকানে বসানো হচ্ছে জালটাকা শনাক্তকারী মেশিন। এবার সবচেয়ে বেশি সিসি ক্যামেরা ও কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে ট্রেন, লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল ও জনবহুল জায়গাগুলোতে। ইতোমধ্যেই স্থান বিবেচনা করে ঢাকার অসংখ্য জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ছাড়াও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে ছিনতাইপ্রবণ জায়গাগুলোতে। ব্যাংকের সামনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মার্কেট ও রাস্তায় যানজট নিরসনে মার্কেটের সামনে সব ধরনের যানবাহনের পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যানজট নিরসনে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় চার হাজার সদস্য।
×