ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুর-মাওয়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ১৭:০২, ২৩ জুলাই ২০২০

শরীয়তপুর-মাওয়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর ॥ পদ্মা নদীর পানি শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ৪টি পৌরসভাসহ শরীয়তপুর সদর, নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের ৬ লাখ লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার চরাঞ্চলের মানুষ ইতোমধ্যে মাঁচানে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে ঢাকার সাথে সড়ক পথে যোগযোগের একমাত্র মাধ্যম শরীয়তপুর-মাওয়া সড়কের বিভিন্ন স্থান ২ থেকে ৩ ফুট পানির নীচে ডুবে যাওয়ায়-এ সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ঢাকা হতে আগত লোকজন জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। যাত্রী সাধারণ ডুবে যাওয়া রাস্তা বিভিন্ন স্থানগুলো দেশীয় নৌকায় পারাপার হচ্ছে। এ ব্যাপারে শরীয়তপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক আহাম্মদ তালুকদার বলেন, বন্যার পানিতে শরীয়তপুর-মাওয়া সড়ক পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় যে কোন দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বুধবার সন্ধ্যা থেকে এ সড়কে সকল ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার পানিতে পন্টুন ডুবে যাওয়ায় শরীয়তপু-চাঁদপুর ফেরিসার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে। শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাটের শরীয়তপুর অংশের ইজারাদার মোঃ জিতু মিয়া বেপারী বলেন, ফেরিঘাটের শরীয়তপুর অংশের পন্টুন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরি সার্ভিস বিঘ্ন ঘটছে। ফলে শরীয়তপুর অংশ নরসিংহপুর ঘাটে ২শতাধিক মালবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৪শ’ ৭০ মেট্রিকটন খাদ্য সহায়তা পাওয়া গেছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য ২৯৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা দুর্গত এলাকায় চাল, ডাল, লবন, তৈল ও শুকনো খাবারসহ ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। এ পর্যন্ত তিনি বানভাসী ৩০ হাজার পরিবারের মধ্যে ১৫০ মেট্রিক টন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
×