নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বাংলাদেশ স্ট্যার্ন্ডাডস এন্ড ট্রেস্টিং ইন্সিটিটিউশন(বিএসটিআই)লেবেল লাগিয়ে খাওয়ার পানিসহ বিভিন্ন পন্যের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এক অসাধু ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এন.এস.আই তথ্যর ভিত্তিতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিট্রেট মিল্টন রায় ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করেন।
তবে অভিযানের সময় কারখানা মালিক মো.নুরুল ইসলাম পালিয়ে গেলে ভ্রাম্যামান আদালত কারখানাটি সিলগালা করেন এবং মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু প্রস্ততি গ্রহণ করেন। ভ্রাম্যামান আদালতের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার এন.এস.আই কর্মকর্তা ও সীতাকুন্ড মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো.রফিকুল ইসলাম।
জানা যায়,দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার মাদামবিবিরহাট নেভিরোড খাদেমপাড়া এলাকায় শাকির মঞ্জিলের নিচ তলার একাংশ ও উপরের তলায় আর.ও ডিংকিং ওয়াটার,ফাহিম চা পাতা,আর.এস.এম ডিটারজেন্ট পাউডর ও টু স্টার শাপলা মার্কা কালো দাঁতের মাজন তৈরী করে বিএসটিআই অবৈধ লেবেল দিয়ে বাজারজাত করে আসছেন। বিল্ডিংয়ের বাকি অংশে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন অবৈধ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম। কারখানার নিজস্ব কোন প্রতিষ্ঠান না থাকলেও একই বিল্ডিংয়ের ছাদে এতগুলো ব্যবসা ভ্রাম্যমান আদালতও রীতিমত হতভম্ব।
এর আগেও সীতাকুন্ডে পূর্বের উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি দুইবার এই পানির কারখানায় অভিযান পরিচালনা পরবর্তী নগদ জরিমানা করেন। কিন্তু কে শুনে কার কাহিনী ফের বৃহৎ আকারে চালু করেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং রমরমা চলতে থাকে ব্যবসা। গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে এই অবৈধ ব্যবসা আস্তনা এবং শুরু করেন তদন্ত। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে। অভিযানকালে কারখানা মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষনিক নগদ জরিমানা করা না গেলেও অবৈধ পন্যের বিভিন্ন লেবেল,রাসায়নিক পদার্থ,কয়েকশত পানির পাত্র পুড়ে ফেলে এবং কারখানাটি সিলগালা করে মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অবৈধ ব্যবসার অভিযোগে সীতাকুন্ড থানার উপ-পরিদর্শক মো.রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিট্রেট মিল্টন রায় বলেন,“এর আগেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই কারখানায় ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালিত হয়েছে। এখন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যর ভিত্তিতে আমি অভিযান পরিচালনা করেছি।
দীর্ঘসময় অভিযানে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আমরা জদ্বকৃত অবৈধ ব্যবসার বিভিন্ন পন্য আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছি। কারখানার মালিক পালিয়ে যাওয়ায় আমরা কারখানার কক্ষগুলো সিলগালা করেছি এবং মালিকের বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার দায়ে নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে।”
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: