ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনা আতঙ্কে রামেক হাসপাতালে দুই লাশ ফেলে লাপাত্তা স্বজনেরা

প্রকাশিত: ২১:২৩, ৬ জুলাই ২০২০

করোনা আতঙ্কে রামেক হাসপাতালে দুই লাশ ফেলে লাপাত্তা স্বজনেরা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ করোনা আতঙ্কে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দুইজনের লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন স্বজনেরা। রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত লাশ দুটি রামেক হাসপাতালেই পড়েছিল। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত ব্যক্তিরা হলেন নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আজাদ আলী এবং রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার হাবিবুর রহমান। এদের মধ্যে আজাদ করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। আর নমুনা পরীক্ষায় হাবিবুরের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে আজাদ আলী মারা যান। আর হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ১০টার দিকে হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়। করোনায় সন্দেহভাজন রোগীদের এই ওয়ার্ডে রাখা হয়। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, রাজশাহী জানিয়েছে, আজাদ আলীর মৃত্যুর পর রাতেই তার লাশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের জন্য ফাউন্ডেশনকে অবহিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা আজাদ আলীর ভাই এবং ভাবির সঙ্গে কথা বলেন। তারা স্বেচ্ছাসেবকদের জানান, গ্রামে এই লাশ দাফন করতে দেয়া হবে না। কোয়ান্টাম যেন রাজশাহীতেই লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করে। সে অনুযায়ী, কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবকরা ভোর ৫টায় রাজশাহীতে কবর খনন শুরু করেন। এরপর ভোর ৬টায় আইসিইউর সামনে গিয়ে দেখেন মৃত ব্যক্তির ভাই এবং ভাবি সেখানে নেই। অন্য রোগীর স্বজনরা জানান, ফজরের আজানের পর তারা হাসপাতালে থেকে বেরিয়ে গেছেন। এরপর থেকে তাদের ফোন বন্ধ। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ সাইফুল ফেরদৌস জানান, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার স্বজনরা ছিলেন। তবে মৃত্যুর পর তারা লাশ ফেলে চলে গেছেন। হাসপাতালে ভর্তির সময় রোগীর স্বজন হিসেবে যে মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছিল সেটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে হাবিবুরের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। তিনি জানান, পুলিশের মাধ্যমে দুই লাশের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তাদের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু স্বজনরা যদি কোনভাবেই না আসেন তাহলে লাশের দায়িত্ব পুলিশকে দেয়া হবে। পুলিশ তখন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দুটি দাফনের ব্যবস্থা করবে।
×