ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভৈরবে রিপোর্ট দেরিতে আসায় করোনা রোগী বাড়ছে

প্রকাশিত: ২১:২৭, ৩০ জুন ২০২০

ভৈরবে রিপোর্ট দেরিতে আসায় করোনা রোগী বাড়ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ২৯ জুন ॥ ভৈরবে করোনার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেরিতে আসায় দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। উপজেলার তত্ত্বাবধানে আইসোলেশন সেন্টারে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ১০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নমুনা দেয়ার পর রিপোর্ট আসতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা লোকজন অবাধে হাটবাজারসহ সর্বত্র চলাফেরার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনার শুরু কালে ভৈরবে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু রমজানের ঈদে ভৈরব বাজারের মার্কেটগুলো খুলে দেয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। এর পরপরই কিশোরগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। এ ল্যাবে প্রতিদিন ৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় সক্ষমতা রয়েছে। তার বিপরীতে ১৩টি উপজেলা থেকে ৪০০ শর মত নমুনা পাঠানো হয়। এই পরিস্থিতিতে বাকি নমুনা ঢাকার বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কারণে এই নমুনা জট বেড়েছে। আজ পর্যন্ত ভৈরবে ৭ দিনের নমুনা পরীক্ষার ফল আটকে আছে। ১৩ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৬৬ ভৈরবে ৪৮৪ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ১৬ জন। এমন পরিস্থিতিতে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসীর। নমুনা দেয়ার সপ্তাহ খানেক পর দেখা গেছে, রিপোর্ট এসেছে পজিটিভ। ফলে রিপোর্ট দেরিতে আসায় আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমেও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন আরও অনেকেই। ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসীর দাবি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা রোধ করতে ভৈরবে পিসিআর ল্যাব স্থাপন অতি জরুরী। এ ছাড়াও নমুনা দেয়ার পর প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশ অমান্য করেও অনেকে বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ফলে ভৈরবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। নমুনা প্রদানকারী ও আক্রান্ত রোগীরা জানান, গত এক সপ্তাহ হয়েছে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছি। এখনও রিপোর্ট আসেনি। যদি ভৈরবে একটি ল্যাব থাকত তাহলে আমরা দুই এক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পেয়ে যেতাম। তখন আক্রান্ত ব্যক্তিটি জানতে পারত সে করোনায় আক্রান্ত। তখন হয়তো আক্রান্ত ব্যক্তিটি বাড়ির বাইরে যেত না বা পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে নিজেই সতর্কতা অবলম্বন করত। নমুনা পরীক্ষার জন্য ভৈরবে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করলে সবার জন্য ভাল হতো। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডাক্তার বুলবুল আহম্মদ জানান, এমন পরিস্থিতিতে নমুনার জট কমাতে ভৈরবে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে। আশা করছি অচিরেই ভৈরবে করোনার জট কমে আসবে।
×