ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে যুবক ও নারী খুন

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ২৭ জুন ২০২০

গাজীপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে যুবক ও নারী খুন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ পূর্ব বিরোধের জেরে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শুক্রবার এক যুবককে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। অপর ঘটনায় এক নারীকে তার স্বামী পুতা দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। পুলিশ নিহত গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। জিএমপির পূবাইল থানার ওসি নাজমুল হক ভুইয়া ও স্বজনরা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল থানাধীন নারায়ণপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবুল কাশেম জনিকে (২৭) শুক্রবার ভোরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর সে আর বাড়ি ফিরেনি। সকালে এলাকাবাসী স্থানীয় আব্দুস সালামের মুরগির খামারের সামনে ধানক্ষেতের পাশে জনির রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহতের মাথার পেছন দিকের ডান পাশে, ডান চোখে ও ডান হাতের কুনুইয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জনি এলাকায় মাদক ব্যবসা ও সেবন করত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক ব্যবসার পূর্ব বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হাতুড়ি বা লোহার রড দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। এদিকে অপর ঘটনায় মহানগরের কাশিমপুরে বৃহস্পতিবার রাতে এক গৃহকর্মীকে তার স্বামী পুতা দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। নিহতের নাম ফিরোজা খাতুন (৪৫)। সে ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার বালাকি নয়াপড়ার আব্দুল হাইয়ের ছেলে সুরুজ মিয়ার স্ত্রী। জিএমপির কাশিমপুর থানার ওসি আকবর আলী খান জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুরের রওশন মার্কেট এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে তৃতীয় স্ত্রী ফিরোজাকে নিয়ে সুরুজ মিয়া বসবাস করতেন। সুরুজ মিয়া এলাকায় দিনমজুর এবং ফিরোজা বিভিন্ন বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ শুরু হয়। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে সুরুজ শিল দিয়ে ফিরোজার মাথায় আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে ফিরোজা মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং সুরুজকে আটক করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাটোরে যৌতুকের বলি গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা নাটোর থেকে জানান, আমার বাবা তিন লাখ টাকা দেয়ার পরও আমার শাশুড়ি আমাকে জ্বালায়। তার মন ভরে নাই। আপনেরা(আপনারা) সবাই দেখেন (দেখবেন) তার বিটাক (ছেলেকে) কত কোটি টাকা দিয়ে বিয়ে দেয়। চিরকুটে এমন মনের কষ্টের কথা লিখেই আত্মহত্যা করে গৃহবধূ শারমিন আক্তার (২২)। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির অতিরিক্ত লোভের কারণে যৌতুকের বলি হয়ে অকালে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শারমিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গুরুদাসপুরের পোয়াশুড়া কান্দিপাড়া গ্রামে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এছাড়া, রাতেই নিহতের বাবার করা মামলা দায়েরের পর শারমিনের স্বামী অভিযুক্ত সোহাগ (২৭) ও তার শ্বশুর নাজিম উদ্দিন এবং শাশুড়ি আয়েশা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, ১ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে পারিবারিকভাবে গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষাই ইউনিয়নের পোয়াশুড়াকান্দিপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সোহাগের সঙ্গে একই উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের ফারুক ফকিরের মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ফারুক ফকির জামাইকে নগদ ৩ লাখ টাকা এবং ৮০ হাজার টাকার আসবাবপত্র প্রদান করেন। বাকি ২ লাখ টাকা অচিরেই দেয়ার কথা ছিল। অভিযোগ উঠেছে, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারমিনের ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালাত। যশোরে ভাইয়ের হাতে ভাই স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, যশোর সদরের পল্লীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে অপান ভাইয়ের হাতে কাজী নজরুল ইসলাম(৬৫) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে সদরের দেয়াপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত কাজী আব্দুল গনির পুত্র। নিহতের পুত্র কাজী মনিরুল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে বিরোধ ছিল তার ছোট চাচা কাজী আব্দুর রাজ্জাকের। আজ সকালে বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর তার বাবার সঙ্গে ছোট চাচার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আব্দুর রাজ্জাক ধারালো দা দিয়ে তার পিতার ঘাড়ে কোপ দেয়। কাজী নজরুল ইসলামকে উদ্ধার করে আড়াই শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
×