ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষাঙ্গনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছে প্রশাসন

প্রকাশিত: ২১:৩২, ২৩ মে ২০২০

শিক্ষাঙ্গনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছে প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঘূর্ণিঝড় আমফানে শিক্ষাঙ্গনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছে শিক্ষা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়ার পর কেন্দ্রে তথ্য পাঠানো শুরু করেছেন মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা। ঘূর্ণিঝড় আমফানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) অধীন এক হাজার ৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ১৬ কোটি টাকারও বেশি। ক্ষতির পরিমাণ জানাতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। মাউশি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে তা প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব মাত্র। প্রাথমিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হয়েছে। এরপর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সঠিক হিসাব বের করা হবে। এবং সে অনুসারে ক্ষতি পোশানোর উদ্যোগও নেয়া হবে। এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ জানাতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদফতর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। জানা গেছে, আমফানের উপকূলীয় এলাকার অনেক শিক্ষা প্র্রতিষ্ঠান স্থানীয়দের জন্য অশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়ছে। আবার কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভেঙ্গে গেছে, পানিতে আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়েছে। কী পরিমাণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতি হয়েছে, কী ধরনের ক্ষতি ?- এসব সংস্কারের জন্য কেমন অর্থের প্রয়োজন ইত্যাদি বিষয়ে মাঠপর্যায় থেকে তথ্য দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) বুলবুল আাখতার জানান, প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেতে একটু সময় লাগবে। সব জেলা থেকে তথ্য নিয়ে তারা পূর্ণাঙ্গ তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাবেন। মন্ত্রণালয় চাওয়ার আগেই মাঠপর্যায় থেকে তথ্য দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে ইতোমধ্যেই ক্ষতির একটা হিসেব বের করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। বৃহস্পতিবার চিঠি দেয়ার পর মাঠ পর্যায় থেকে শুক্রবারই ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য এসেছে। অধিদফতরের কর্মকর্তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে একটা হিসেব আমরা বের করতে পেরেছি। সে হিসেবে মাউশির অধীন এক হাজার ৮৭টি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ১৬ কোটি টাকারও বেশি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা আরও জানিয়েছেন, সঠিক ক্ষতির পরিমাণ বের করতে আরও কিছু সময় লাগবে।
×