ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটে হাটবাজারে গণজমায়েত

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ২৫ মার্চ ২০২০

লালমনিরহাটে হাটবাজারে গণজমায়েত

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২৪ মার্চ ॥ করোনা সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে পৃথিবীব্যাপী চলছে সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ। করোনা সংক্রমণ বিস্তারের চেন ভাঙার জন্য এরচেয়ে বড় কোন পদ্ধতি পৃথিবীতে নেই। দেশের সরকার করোনা-চেইন ভাঙা ও সংক্রমণ বিস্তার রোধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। স্কুল, কলেজ, অফিস আদালত বন্ধ করে দিয়েছে। গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। করোনা তদারকিতে সব জেলায় সেনাবাহিনী নামিয়েছে। কিন্তু ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে। হাটবাজারগুলোতে গণজমায়েত ঘটছে। হাটবাজারে আসা সাধারণ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। এতে করে গ্রামে গ্রামে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা জেলা সদরের অদূরে মোগলহাট ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী দুরারকুটি হাটে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। কারও কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। নেই করোনা নিয়ে কোন সচেতনতা। নেই কোন করোনা নিয়ে মাথা ব্যথা। শুধু এই হাটেই নয়। জেলার পাঁচ উপজেলার হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। কোথাও কমেনি এতটুকো জনসমাগম। এভাবে হাটবাজারে চললে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে জেনেও সচেতন হচ্ছে না মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসমাগম না করতে মাইকিং করা হয়েছে। সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হাটগুলোতে ইজারাদাররা এই নিয়ম মানার ব্যাপারে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। অন্যদিকে সীমান্তবর্তী হওয়াতে এসব হাটে ভারতীয় গরু ও গরুর ব্যবসায়ীরাও এসে থাকেন। এতে করে করোনাভাইরাসের চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এই অঞ্চলের মানুষরা। জানা গেছে, গরু কেনা-বেচার সুখ্যাতি দেশের উত্তর জনপদের সবচেয়ে বড় হাট বাজার, দূরারকুটি, বগবাড়ি, চাপারহাট, পারুলিয়ারহাট,সাপ্টিবাড়িরহাট, জাওরানির হাট, জোংরাহাট, দৈই খাওয়ারহাটসহ প্রায় ৫০টি হাটবাজার রয়েছে। এসব হাট বাজারে প্রতিটিতে চোরাই পথে আসা ভারতীয় গরু কেনা বেচা হয়। একই সঙ্গে মাছ, মাংস, মুরগি, ডাল, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সদাইপাতি ক্রয় বিক্রি হয়। গ্রামের মানুষ হাটবাজার কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। হাটবাজার গ্রামের কৃষক শ্রমিকসহ সব পেশার মানুষের পণ্য ও অর্থ বিনিময়ের স্থান। জেলায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও হাটবাজার বসছে। হাটবাজারগুলোতে করনোভাইরাসের ঝুঁকিরোধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। নেই কোন প্রচার। সাধারণ গ্রামের মানুষ কোন ধরনের করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াই হাটবাজারগুলোতে আসছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারী কোন নির্দেশনা হাটবাজারগুলোতে মানা হচ্ছে না মোটেও। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফল জানান, সরকারীভাবে হাট-বাজার বন্ধের কোন সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। তবে সাধারণ মানুষকে করেনাভাইরাস প্রতিরোধে মুখে মাস্ক ও বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলা হচ্ছে। হাটবাজারগুলোতে জননিরাপত্তার স্বার্থে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।
×