ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন হত্যা মামলায় বাবা ও চাচার ফাঁসি

প্রকাশিত: ১০:১৯, ১৭ মার্চ ২০২০

সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন হত্যা মামলায় বাবা ও চাচার ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ ১৬ মার্চ ॥ সুনামগঞ্জের বহুল আলোচিত তুহিন হত্যা মামলায় বাবা মোঃ আবদুল বাসির ও চাচা মোঃ নাসির উদ্দিন এর মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার। সোমবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে নৃশংসভাবে খুন হওয়া পাঁচ বছর বয়সী শিশু তুহিন মিয়া হত্যা মামলায় অপর আসামি দুই চাচা মাওলানা আবদুল মোছাব্বির ও জমশেদ আলীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ১০ মার্চ আরেক অভিযুক্ত শিশুর চাচাত ভাই শাহরিয়ারকে আট বছরের আটকাদেশ দিয়েছিলেন সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত। জানা যায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত বছরের ১৩ অক্টোবর ঘুম থেকে তুলে নিয়ে শিশু তুহিনকে হত্যা করে জবাই করে কান ও পুরুষাঙ্গ কেটে পেটে দুটি ছুরিবিদ্ধ করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। নৃশংস এ ঘটনায় দেশ বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছিল। আলোচিত এই মামলায় ৫ মাসের মধ্যেই বিচারকাজ শেষ করেছেন আদালত। ঘটনার দুইদিন পর চাচাত ভাই শাহরিয়ার আহমদ ও তার দুই চাচা হত্যাকা-ের ঘটনা আদালতে ৬৪ ধারার জবানবন্দীতে স্বীকার করেন। তবে বাবা আবদুল বাছির ও চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির তুহিন হত্যার কথা স্বীকার করেননি। পিতা বাছিরকে দুই দফা রিমান্ডে নিলেও তিনি ছেলে হত্যার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেননি। মামলায় বাবা আবদুল বাছির, চাচা জমসেদ আলী, নাছির উদ্দিন, মাওলানা আবদুল মোছাব্বির ও চাচাত ভাই শাহরিয়ার আহমদের বিরুদ্ধে গত ৩০ ডিসেম্বর আদালতে আলাদাভাবে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। অভিযুক্ত চাচাত ভাই শাহরিয়ারের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে বিচারের জন্য শিশু আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। গত ২ জানুয়ারি শাহিরয়ারের বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠন করেন। গত ৩ মার্চ আদালত যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ১০ মার্চ মঙ্গলবার সকালে তুহিন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শিশু চাচাত ভাই শাহরিয়ার আহমদকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেন শিশু আদালতের বিচারক মোঃ জাকির হোসেন। আজ ১৬ মার্চ সকাল ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার শিশু তুহিন হত্যায় বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা নাসির মিয়াকে মৃত্যুদ- দেন।
×