ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মঠবাড়িয়ায় সরকারী সম্পত্তি ভূমিদস্যুর দখলে

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১৪ মার্চ ২০২০

মঠবাড়িয়ায় সরকারী সম্পত্তি ভূমিদস্যুর দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ১৩ মার্চ ॥ মঠবাড়িয়ায় পৌর শহরের সরকারী সম্পত্তি পাল্লা দিয়ে দখল করে নিচ্ছে কয়েক চিহ্নিত ভূমিদস্যু। প্রভাব খাটিয়ে তারা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গড়ে তুলছে পাকা স্থাপনাসহ বহুতল ভবন। এ সকল সম্পত্তি কার ? এ নিয়ে নিয়মিতভাবে পৌর কর্তৃপক্ষ, ভূমি অফিস, জেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। এ সুযোগে ভূমিদস্যুরা দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের স্লুইসগেট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারী সম্পত্তিতে হানিফ কাজি, আলমগীর কাজি, বাবুল চৌকিদার, আবুল বাশার, মোঃ আলী হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন, মাস্টার হুমায়ূন কবির বর্তমানে পাকা স্থাপনা ও বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। এরা জানিয়েছেন, পৌরসভা থেকে অনুমতি নিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে বহু স্থাপনা নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে গেছে। মঠবাড়িয়া পৌর প্রকৌশলী আব্দুস সালেক বলেন, পৌরসভা থেকে কাউকে কোন পাকা স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়নি। তারা অবৈধভাবেই কাজ করছে। স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর হেমায়েত উদ্দিন বলেন, প্রশাসনের উদাসীনতায় অনেক আগেই সরকারী এ সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে। বর্তমানে বহুসংখ্যক লোক প্রতিযোগিতা করে পাকা স্থাপনা ও বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ^াস বলেন, পৌর শহরের খাল বা তার পাশের সম্পত্তি জেলা পরিষদের। এখানে আমার কিছু করার নেই। তার পরের অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা পরিষদকে অবহিত করেছি। নাম প্রকাশ না শর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় এক কর্মকর্তা এ সম্পত্তি পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি করে বলেন, আমার উপরোস্থ কিছু কর্মকর্তার উদাসীনতায় এ সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের হতে চলে গেছে। তারা এগুলো ছোট মনে করে নজর দিচ্ছে না। বড় কাজ নিয়ে তারা ব্যস্ত থাকেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র দাসের মুঠো ফোনে একাধিক কল করলেও তিনি রিসিভড করেননি। তবে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম বালী জানান, ওই সম্পত্তি জেলা পরিষদের। পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেবেকা খান জানান, আমি এখনই ঘটনাস্থলে সার্ভেয়ার পাঠাচ্ছি। ওই সম্পত্তি জেলা পরিষদের আওতায় হলে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। জেলা পরিষদের জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ওই সম্পত্তি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায়।
×