ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফুটপাথে বাইক-লাটভাইদের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত: ১০:২১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 ফুটপাথে বাইক-লাটভাইদের দৌরাত্ম্য

রাজন ভট্টাচার্য ॥ তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত সড়কটিতে দীর্ঘ যানজট। অপেক্ষা বিশ মিনিটের বেশি। মগবাজারগামী যানবাহনের দীর্ঘ জটে অস্থিরতা বাড়ছে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বড় যানবাহনের বিকল্প না থাকলেও ছোট যানবাহনগুলো অবৈধ বিকল্প পথ বের করেছে। তা হলো ফুটপাথ ধরে যাত্রা। অর্থাৎ একে একে মোটরবাইককে ফুটপাথ ধরে গতি নিয়ে ছুটতে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে এ্যাপভিত্তিক চালকের সংখ্যাই বেশি। সমস্যা অন্য জায়গায়। ফুটপাথ ধরে তো মানুষের চলাচল। সেখানে মোটরসাইকেল যাওয়া মানেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি, আবার বিড়ম্বনাও। এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে চালকের হর্ন! এক পর্যায়ে পথচারীরা লাটভাই খ্যাত বাইক চালকদের ঘেরাও করেন। একে একে থামতে শুরু করেন চালকরা। শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় চালকরা দুঃখ প্রকাশ করলে সমস্যার সমাধান। ঘটনা বুধবার দুপুরের। নগরবাসীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সম্প্রতি উচ্চ আদালত ফুটপাথে মোটরসাইকেল না চালানোর রায় দেয়। রায়ের পর পর পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় থাকলেও এখন সেদিকে খুব একটা ভ্রুক্ষেপ কারো আছে মনে হয় না। সড়কের চিত্র বলছে, যানজট দেখলেই মোটরসাইকেল চালকরা ফুটপাথ ধরে চলতে শুরু করেন। পথচারীদের অসুবিধা হতে পারে- এ ভাবনা কে ভাববে। সময় নেই কারো ভাবার। হয়তো চলার স্বাধীনতা থেকেই এমন চিন্তা আসতে পারে। নয়তো এমন কা-জ্ঞানহীন কাজ দিনের পর দিন চলতে পারে না। দেখলে মনে হবে আইনের প্রতি যেন কারো তোয়াক্কা নেই, তেমনি দায় নেই সুন্দর নগর ব্যবস্থাপনারও। উড়াল সড়ক হওয়ার পর থেকে মালিবাগ মোড় থেকে শাজাহানপুর মোড় পর্যন্ত দিনভর যানজট লেগেই থাকে। সন্ধ্যার পর থেকে এ সমস্যা মাত্রা ছাড়ায়। কিন্তু মোটরসাইকেল চালকদের সমস্যা নেই। যানজট দেখা মাত্রই উঁচু ফুটপাথেও গাড়ি তুলে দেয়া যায়। দিব্যি চলছেন। বাজছে হর্ন। এভাবেই নির্ভয়ে, নির্লজ্জভাবে ছুটে চলা। কখনও পুলিশ দেখে, কখনও দেখে না। আর দেখবেই বা কত? গত অন্তত এক সপ্তাহে নগরীর রামপুরা, বাড্ডা, নতুন রাস্তা, গুলশান-১ ও ২, বনানী, বিমানবন্দর, শাহজাদপুর, আব্দুল্লাপুর, মতিঝিল, ফকিরাপুল, মৌচাক, মালিবাগ, ইস্কাটন, বাংলামোটর, শাহবাগ, এ্যালিফেন্ট রোড, ধানমন্ডি, কলাবাগান, রাসেল স্কয়ার, রাইফেল স্কয়ার, শংকর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১, মাজার রোড, গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বাইক চালকদের নানা রকম অরাজকতার চিত্র দেখা গেছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, এখন আইনভঙ্গকারীদের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছেন মোটরসাইকেল চালকরা। সিগন্যাল অমান্য করে বাইক চালকদের চলা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। একটু ফাঁকা পেলেই ইচ্ছামতো গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়া আরও বড় রকমের বদভ্যাস। কারো সুবিধা অসুবিধার কথা বিবেচনায় থাকে না। এ নিয়ে নগরীর মানুষ খুবই ক্ষুব্ধ। পুলিশের কাছে হরদম অভিযোগ আসে এই পরিবহন চালকদের বিরুদ্ধে। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণের ডিসি জয়দেব চৌধুরী বলেন, দিনভর রাস্তায় পুলিশ আছে। বাইক চালকদের আইন ভঙ্গের কারণে জরিমানা হচ্ছে। মামলা হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে না। তিনি সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি যানবাহন এখন মোটরসাইকেল। এ্যাপভিত্তিক সেবা কার্যক্রম ২০১৬ সালে শুরুর পর থেকে এ ধরনের যানবাহনের সংখ্যা রীতিমতো পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ১২টি প্রতিষ্ঠানকে অনলাইন ভিত্তিক সেবার অনুমোদন দিয়েছে বিআরটিএ। তাই দেখা যায়, অনেকে আইন কানুন না জেনেই গাড়ি চালাতে নেমে যাচ্ছেন রাস্তায়। অনেক চালক আছেন যাদের আয়ের জন্য গ্রাম থেকে এনে বাইক চালানোর কাজে লাগানো হচ্ছে। তাই সড়কে বাইকের অরাজকতা দেখা যায় সব সময়। মোড়ে মোড়ে গাড়ি নিয়ে চালকদের জটলা। চুক্তি ভিত্তিক চালানো। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করা। ফুটপাথ ব্যবহারসহ অনিয়মের শেষ নেই। প্রশ্ন হলো অনিয়ম কি কখনও নিয়মে আসবে না। নাকি এভাবেই ভোগান্তির মধ্যে পথ চলতে হবে নগরীর মানুষদের। প্রতি মাসে বিআরটিএ থেকে যে পরিমাণ যানবাহন চলার অনুমতি পায় এর অর্ধেকের বেশি হল বাইক। তাই নগরীতে মোটরসাইকেল এখন সত্যিকার অর্থেই চোখে পড়ার মতো। আইন ভঙ্গের কারণে এ বাহনটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সবচেয়ে বেশি। তেমনি পথ চলার সময় বাইক আতঙ্ক এখন সবার মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই চাকার যানে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেশি। এখন মোটরসাইকেল বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ঝুঁকি আরও বেড়েছে। দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া যুবক-তরুণদের একটা বড় অংশই মোটরসাইকেল আরোহী। তাদের একটি বড় অংশের ড্রাইভিং লাইসেন্স এমনকি গাড়ির কাগজপত্রও নেই। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের চার ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীতে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক সাত লাখ ২৪ হাজার ৮০০ যানবাহনই হলো মোটরসাইকেল। তাছাড়া সারাদেশে মোট পরিবহনের তিন ভাগের দুই ভাগের বেশি এখন মোটরসাইকেল। নগরীতে বাসের সংখ্যা সাড়ে সাড়ে ৩৬ হাজার। মিনিবাসের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে চালকসহ পেছনে থাকা যাত্রীর হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, নো হেলমেট-নো ওয়েল। অর্থাৎ হেলমেট ছাড়া কোন বাইক চালককে পাম্প থেকে তেল দেয়া হবে না। দুটি পদক্ষেপই বেশ কার্যকর হয়েছে। মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীদের বেশিরভাগই এখন হেলমেট ব্যবহার করছেন। প্রশ্ন হলো জনস্বার্থে তবে কেন ফুটপাথে গাড়ি চলা বন্ধ করা যাবে না। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নয়নশীল একটি দেশ যখন আর্থিকভাবে সক্ষমতার দিকে ধাবমান হয় তখন যানবাহনের ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এক সময় দেশের প্রায় সবখানের যাতায়াতের বড় মাধ্যম ছিল বাই মোটরসাইকেল। এখনও আছে। তবে তুলনামূলক বিবেচনায় একশ’ ভাগের পাঁচ ভাগেরও কম। এর মধ্যে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। বেড়েছে রাস্তাঘাটের পরিধি। যোগাযোগ ব্যবস্থা এসেছে হাতের নাগালে। তাই তো এখন প্রায় ঘরে ঘরে মোটরসাইকেলের ব্যবহারও বাড়ছে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকাসহ সারাদেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে মোটরসাইকেল ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। বাড়ছে শিল্পের বিকাশ। রাস্তায় প্রশিক্ষিত চালক না থাকার কারণেই বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) তথ্য অনুসারে, ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনের মধ্যে শীর্ষে বাস-মিনিবাস। এরপরই মোটরসাইকেলের অবস্থান। যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুসারে, সারাদেশে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান। এরপরই আছে মোটরসাইকেল। বিআরটিএ কর্মকর্তারা বলছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা বাড়ানো এবং মোটরসাইকেল নামানো নিরুৎসাহিত করতে বিআরটিএ মোটরসাইকেল বিক্রির আগে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার চিন্তা করছে। পাশাপাশি বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়িয়ে লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত করারও চিন্তা আছে। বিআরটিএ বলছে, নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের প্রায় ৫৯ শতাংশ চালকেরই লাইসেন্স নেই। এর মধ্যে প্রতি বছরই গড়ে দেড় লাখ নতুন মোটরসাইকেল সড়কে নামছে। ২০১০ সালে ৭ লাখ ৫৯ হাজার ২৫৭টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন দেয় বিআরটিএ। এরপর সাড়ে আট বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখের বেশি। এর মধ্যে ২০১৬ সালে তিন লাখ ৩২ হাজার ৫৭, ২০১৭ সালে তিন লাখ ২৬ হাজার ৫৫০, ২০১৮ সালে তিন লাখ ৯৫ হাজার ৬০৩ ও ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত এক লাখ ৭৭ হাজার ২৩২ মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছে। ২০১০ সালে ঢাকায় নিবন্ধন হয় দুই লাখ ১০ হাজার ৮১ গাড়ি যা এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে সাত লাখে ছুঁই ছুঁই। মোটরসাইকেল বিক্রি ও সরবরাহের আগে চালককে লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে গত বছরের ১৩ মে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সম্প্রতি কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনার তদন্তে মোটরসাইকেলের চালকের লাইসেন্স না থাকার তথ্য তুলে ধরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। আমদানিকারকরাও তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তবে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। মোটরসাইকেলের আমদানিকারক, ডিলার ও বিক্রেতারা মনে করছেন, বিক্রির আগে লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক করা হলে গ্রাহকদের হয়রানি বাড়বে। মোটরসাইকেল বিক্রি কমে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোটারসাইকেল বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এআরআইর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ঢাকায় ১২৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৫টি দুর্ঘটনায় জড়িয়ে ছিল বাস-মিনিবাস। মোটরসাইকেল ছিল ১২টিতে। ২০১৭ সালে ২৬৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ঢাকায়। এর মধ্যে বাস-মিনিবাস ১৪৫ এবং মোটরসাইকেল ৪৮টি দুর্ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। ২০১৮ ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২৮০টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা ৭০টি। আর বাস-মিনিবাস দুর্ঘটনা ১৩৪টি। অর্থাৎ ঢাকায় সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে বাস-মিনিবাস। আর দ্বিতীয় বৃহত্তর দুর্ঘটনাপ্রবণ যান হলো মোটরসাইকেল। যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে ২৫ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে মোটরসাইকেল জড়িত ছিল। সর্বোচ্চ ২৯ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান এবং প্রায় ১৯ শতাংশ ঘটেছে বাস-মিনিবাসের কারণে। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ১ হাজার ৯৮টি। নিহত হয়েছেন ৬৪৮ জন মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, শহরে মোটরসাইকেলের চালকদের হেলমেট পরার সুঅভ্যাস গড়ে ওঠা এবং সচেতনতা বাড়লেও গ্রামে জেলা পর্যায়ে ও গ্রামে হেলমেট না পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রশাসনের সামনে দিয়ে লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল ও অপ্রাপ্তবয়স্করা মোটরসাইকেল চালাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, চার চাকার যানের চেয়ে দুই চাকার যানে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেশি। এখন মোটরসাইকেল বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ঝুঁকি আরও বেড়েছে। দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া যুবক-তরুণদের একটা বড় অংশই মোটরসাইকেল আরোহী। তিনি বলেন, বিআরটিএ যে হারে মোটরসাইকেল নিবন্ধন দিচ্ছে, সে হারে মানসম্মত পরীক্ষার মাধ্যমে লাইসেন্স দিতে পারছে না। এখন প্রশ্ন হলো, মোটরসাইকেলের বৃদ্ধি কি চলবেই নাকি তা নিরুৎসাহিত করা হবে এ বিষয়ে বিআরটিএর কোন নীতি নেই। ফলে একটা ঝুঁকির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবে সঠিক তদারকি হলে দুর্ঘটনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
×