ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় তিন পাচারকারী গ্রেফতার ॥ তিন রোহিঙ্গাসহ বিপুল পাসপোর্ট উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 কুমিল্লায় তিন পাচারকারী গ্রেফতার ॥ তিন রোহিঙ্গাসহ বিপুল পাসপোর্ট উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ॥ বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, ভুয়া জন্ম সনদ ও পাসপোর্টের জন্য জাল সনদ তৈরির সরঞ্জামাদিসহ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় নারীসহ ৩ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। রবিবার রাতে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধোরকড়া বাজার ও চিওড়া এলাকায় কুমিল্লাস্থ র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। এ ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে গাল্ফ ট্রাভেল এজেন্সির শাখা ব্যবস্থাপক কাজী খবির উদ্দিন। সোমবার দুপুরে নগরীর শাকতলাস্থ র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব সাংবাদিকদের জানান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধোরকড়া বাজার ও চিওড়া এলাকায় নারীসহ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করে রাখা হয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হচ্ছে- জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাপড় চোতালী গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম ওরফে রুবেল (২৫), ফজলুল হকের ছেলে নুরুল হক (২৯), ডিমাতলী গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে কাজী ফয়সাল আহাম্মেদ ওরফে রনি (৩২)। এ সময় তাদের জিম্মা হতে ৩ জন বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিককে (রোহিঙ্গা) উদ্ধার করা হয়। তারা হচ্ছে- ২০১৭ সালে আগত কক্সবাজারের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং-১৮ এর অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক নারী, একই সালে আগত ট্যাংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং-১৯ এর মোহাম্মদ আমির হোসেনের ছেলে জাহেদ হোসেন (২৫) এবং ২০১৩ সালে আগত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সি/৩ এর মোঃ হাকিম শরিফের ছেলে মোঃ রফিক (৩৭)। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে ৩৯টি পাসপোর্ট, পাসপোর্ট তৈরির ভুয়া জন্ম সনদ, পাসপোর্ট তৈরির বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র, সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত ৩টি কম্পিউটার, ২টি প্রিন্টার, ১টি স্ক্যানার, ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব আরও জানান, ধৃত আসামিরা সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভুয়া কাগজপত্র সৃজনপূর্বক বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরি করে মালয়েশিয়া ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা হয়েছে।
×