ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এবারের আন্দোলন হচ্ছে জনগণকে মুক্ত করার ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ১০:২০, ১১ জানুয়ারি ২০২০

 এবারের আন্দোলন হচ্ছে জনগণকে মুক্ত  করার ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী প্রচার বিএনপির নতুন আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, এবারের আন্দোলন হচ্ছে জনগণকে মুক্ত করার আন্দোলন। এই আন্দোলন হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন, দেশের মানুষকে মুক্ত করার আন্দোলন। এ সময় নেতাকর্মীদের সামনে স্লোগান দিয়ে ফখরুল বলেন, আমাদের মার্কা কি -‘ধানের শীষ ধানের শীষ’। ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনীত বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে তরুণ নেতা ইশরাক হোসেন। আমারা তার পক্ষে প্রচার শুরু করেছি নতুন আন্দোলনের অংশ হিসেবে। এই নির্বাচনকে আমরা গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি। আজ থেকে আমাদের নতুনভাবে আন্দোলন শুরু হলো। এ সময় মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ইমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল। নির্বাচনী প্রচার উদ্বোধন শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা আশপাশের এলাকায় ইশরাক হোসেনের পক্ষে লিফলেট বিলি করেন। এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর ইশরাক হোসেন জুরাইনে তার পিতা সাদেক হোসেন খোকার কবর জিয়ারত করেন। প্রতীক পাওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকালে ইশরাক হোসেন বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন মেরুদন্ডহীন, নখদন্তহীন ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। এদিকে শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে ১ নং রোডের মসজিদে জুমা নামাজ আদায়ের পর মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব। তারা যদি জনগণের আওয়াজ শুনতে পান তাহলে অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আর তাহলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। তাবিথ বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছি। ঢাকাকে বাঁচাতে আমাদের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমরা ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। এ সময় তাবিথের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারক, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক জিলানী মিলটন প্রমুখ। ইভিএম নীরবে ভোটচুরির প্রকল্প- খসরু ইভিএম নীরবে-নিঃশব্দে ভোটচুরির একটা প্রকল্প বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খসরু বলেন, ইভিএমে যদি ভোট গ্রগণ অব্যাহত থাকে তাহলে দেশের মানুষ কোনদিন ভোটের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে না। কোনদিন নির্বাচিত সরকার ও সংসদ পাবে না জনগণ। সংসদ পাবে না, স্থানীয় সরকারও পাবে না। তাই ইভিএমের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা নেই, তারপরও কেন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি এমন প্রশ্ন অনেকেই করেছেন। জবাব হলো, বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল একদলীয় শাসন থেকে বেরিয়ে এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। আইনের শাসন কায়েম করতে। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে। আমরা বিষয়গুলো আদায় করতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আয়োজক সংগঠনের নেতা রাজীব ধর তমালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অর্পনা রায়, আয়োজক সংগঠনের নেতা সীমান্ত দাস প্রমুখ।
×