ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

তোয়াব খানসহ ২৫ গুণীজনকে সংবর্ধনা

প্রকাশিত: ১০:১৯, ১১ জানুয়ারি ২০২০

  তোয়াব খানসহ ২৫ গুণীজনকে  সংবর্ধনা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খানসহ ২৫ গুণীজন পেলেন ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সংবর্ধনা। অন্যতম জাতীয় পত্রিকা দৈনিক কালের কণ্ঠের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই গুণীজনদের সংবর্ধনা দিয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দেশের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে নিয়ে গুণীজনদের হাতে সংবর্ধনার সম্মাননা স্মারক তুলে দেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গুণীজনদের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা পাওয়া বরেণ্য ব্যক্তিরা হলেন- আহমদ রফিক (ভাষা সংগ্রাম), তোয়াব খান (সাংবাদিকতা), জহিরুল হক (খেলা, ফুটবল), অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (শিক্ষা), হাসান আজিজুল হক (কথাসাহিত্য), মুহাম্মদ কামরুজ্জামান (ক্রীড়া সাংবাদিকতা), মোফাজ্জল করিম (জনপ্রশাসন), বশির আহমেদ (খেলা, হকি), সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী (ব্যবসা), মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম (মুক্তিযুদ্ধ), আলী যাকের (অভিনয়, নাটক), নির্মলেন্দু গুণ (সাহিত্য, কবিতা), ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ (আইন)। আরও রয়েছেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ), সৈয়দ আবুল হোসেন (ব্যবসা ও শিক্ষা), ফরিদা আক্তার ববিতা (অভিনয়, চলচ্চিত্র), চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সালেহ আহমেদ (চিকিৎসা), অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম আবদুল্লাহ (চিকিৎসা), সাবিনা ইয়াসমিন (সঙ্গীত), কাজী সালাউদ্দিন (খেলা, ফুটবল), আবদুল কাদির মোল্লা (ব্যবসা ও শিক্ষা), আব্দুস সাত্তার নিনি (খেলা, শূটিং), আতিকুর রহমান (খেলা, শূটিং), নিয়াজ মোরশেদ (খেলা, দাবা) ও আকরাম খান (খেলা, ক্রিকেট)। একইসঙ্গে কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান, সাফায়েত সোবহান, কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক এবং নিউজ টোয়েন্টিফোর ও রেডিও ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নঈম নিজাম, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের হেড অব নিউজ রাহুল রাহা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। সম্মাননা প্রদান শেষে নিজ বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন বলেন, আজ ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাংলা ভাষার পত্রিকাগুলোর মধ্যে কালের কণ্ঠের ১০ বছরের যাত্রা অন্যতম অর্জন। এই উপলক্ষে কালের কণ্ঠের সব সদস্য এবং পাঠকদের আমি শুভেচ্ছা জানাই। আমি আশা করব, তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন অব্যাহত রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী যে উন্নয়ন করেছেন, সেই সংবাদ দেশের আনাচে-কানাচে নিয়ে যাবে কালের কণ্ঠ। আমি আশা করি তারা জনগণের কথা বলবে। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, কালের কণ্ঠের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ১১তম বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি উৎফুল্ল হই এই ভেবে যে, মুক্তিযুদ্ধের সেøাগান দিয়ে একটি মিডিয়া হাউস কাজ করছে। তাদের মতো ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান এভাবে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে, সত্য-ন্যায়ের কথা বলবে, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা বলবে, আমি এমনটাই আশা করি। এরপর কালের কণ্ঠ দেশের অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা হওয়ার অর্জনে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না থাকলে এসব কিছুই হতো না। আজ যে ২৫ গুণী ব্যক্তিকে আমরা সম্মাননা দিচ্ছি, সেটিও সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কারণে। যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, সেটি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আজ যে গুণী ব্যক্তিদের আমরা সম্মাননা দিতে পেরেছি, সেটি দিতে পেরে আমরা সম্মানিত। পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, কালের কণ্ঠ এমন একটি দিনে শুরু হয়েছিল, যেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে এসেছিলেন। আজ আরও একটি বিশেষ দিন, মুজিববর্ষ উদ্যাপনের ক্ষণগণনার দিন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঘোষণা দিয়ে যাত্রা আরম্ভ করি। দেশে আর কোন পত্রিকা এভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঘোষণা নিয়ে কাজ করেনি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ জাহিদ মালেক, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সবশেষে কালের কণ্ঠের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে এই দীর্ঘ পথচলায় এখন পর্যন্ত যারা সঙ্গে আছেন এমন ১২৯ কর্মীকে সম্মাননা দিয়েছে দৈনিকটি। মিডিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর কর্মীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। নানা অনুষ্ঠানিকতা শেষে আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফাহমিদা নবী, ফেরদৌস আরা, আঁখি আলমগীর এবং কর্নিয়া। এরপরেই সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় প্রতিবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের।
×