ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযোগ ॥ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান সম্পাদকের ‘বক্তব্য’ জানতে চায় দুদক

প্রকাশিত: ১২:৩০, ৬ নভেম্বর ২০১৯

অভিযোগ ॥ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান সম্পাদকের ‘বক্তব্য’ জানতে চায় দুদক

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ‘জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ওই অভিযোগকে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন খুবই শক্তিশালী একটি মহলকে নাখোশ করেছে। আর আমার সহকর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ ও উদাহরণযোগ্য সাংবাদিকতার মূল্য এখন আমাদের এভাবে দিতে হচ্ছে।’ খবর বিডিনিউজের। অভিযোগের বিষয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বক্তব্য জানতে আগামী ১১ নবেম্বর তাকে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে কমিশনের এক চিঠিতে। মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কার্যালয়ে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন’ এবং বিভিন্ন ‘অবৈধ কর্মকা-ের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তার বক্তব্য জানা প্রয়োজন। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ‘কোন অনিয়ম, দুর্নীতি বা বেআইনী কর্মকা-ে আমি কখনও জড়িত ছিলাম না। ‘জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ কোন সম্পদ আমার নেই।’ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, প্রতিবছর তিনি নিয়মিতভাবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে আয়কর বিবরণী জমা দিয়ে আসছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের যে সংবাদকর্মীদের আয়কর ওয়েজবোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী কোম্পানির পক্ষ থেকে দেয়া কথা, তাও যথাযথভাবে নিয়মিত পরিশোধ করা হয়েছে। ‘সম্প্রতি একটি এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছে কিছু শেয়ার বিক্রির পর কোম্পানিতে আমার মালিকানা এখন ৮ শতাংশের সামান্য বেশি। এ সংক্রান্ত সব কাগজপত্রই সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে আছে।’ তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি এবং আমার সহকর্মীদের বহু বছর কষ্ট করতে হয়েছে কোম্পানিকে আজকের অবস্থানে আনার জন্য। সাংবাদিকতায় আদর্শ ও সততা রক্ষা এবং নীতিকে সমুন্নত রাখার জন্য ব্যক্তিগতভাবে তাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আমাদের অনেকে বহু মাস বেতন পর্যন্ত পায়নি। কোম্পানি আমাকে নিয়মিত বেতন দিতে পারেনি। আমার ব্যাংক স্টেটমেন্ট তার প্রমাণ দেবে। তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, যতদূর জানতে পেরেছি, অনেক সময় বেনামা অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের পক্ষ থেকে এ ধরনের চিঠি দেয়া হয়। এই প্রক্রিয়া কখনও কখনও কেবল অযৌক্তিকই নয়, হাস্যকরও বটে। এখন আমাকেও একইভাবে দুদকের চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমি অত্যন্ত বিস্মিত; ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার জন্য বেদনার। প্রধান সম্পাদক বলেন, আমি সবসময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এই অভিযোগ আমি আইনিভাবেই মোকাবেলা করব। আমি বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত তদন্ত হলে অবশ্যই সত্য প্রকাশিত হবে, ওই অভিযোগের অসারতা প্রমাণিত হবে।
×