ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোন ভাতাই পান না প্রতিবন্ধী মা-মেয়ে

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

 কোন ভাতাই পান না  প্রতিবন্ধী মা-মেয়ে

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ২৯ অক্টোবর ॥ যুদ্ধের আগে প্রতিবন্ধীর সঙ্গে বিয়ে হয় সমলা খাতুনের (৭২)। স্বামীর জমি-জমা না থাকায় বিয়ের পর থেকেই ভিক্ষাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। এর মধ্যে ৫ সন্তানের জন্ম হয়। এক মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে এখন তার বোঝা। কিন্তু মা-মেয়ে কেউ সরকারী কোন ভাতার আওতায় আসেনি। সমলার দাবি চাহিদা মতো ঘুষ দিতে না পারার কারণে তারা ভাতা বঞ্চিত। সমলার বাড়ি নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সুতারাটিয়া গ্রামে। জানা গেছে, বাড়িতে সমলার জরাজীর্ণ একটি খড়ের ঘর রয়েছে। প্রতিবেশীর সরু রাস্তা দিয়ে বাড়িতে ঢুকতে হয়। স্বামী আব্দুল মান্নান মারা গেছেন একযুগ আগে। এক অন্ধ মেয়ে স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে সমলার সঙ্গেই থাকে। সমলা জানায়, স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে তার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পরদিন থেকেই তিনি ভিক্ষা শুরু করেন। তার তিন পুত্র ও দুই কন্যা। তারা সবাই বিয়ে করে অন্যত্র থাকে। এক অন্ধ মেয়েকে বিয়ে দিলেও দুই কন্যা সন্তানসহ স্বামী ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ হয়েছে। সংসারের ভরণ পোষণ ভিক্ষার আয়ের ওপর চলে। এই কাজ করছেন তিনি পঞ্চাশ বছর ধরে। এত বছর ভিক্ষা করে চললেও কেউ তার কোন খবর নেয়নি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়নি। একবার স্থানীয় এক মেম্বারকে বলেছিলাম। তিনি ৫ হাজার টাকা ছেয়েছেন। এত টাকা আমি এক সঙ্গে জমা করতে না পারার কারণে কোন কার্ড হয়নি। এসময় সমলার অন্ধ কন্যা শিল্পী আক্তার (৩৫) জানায়, স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে দুই কন্যা সন্তান কে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মা’র বাড়িতেই অবস্থান করছেন। চোখে দেখতে না পারায় কাজ-কর্ম করতে পারেন না। তিনি সরকারী প্রতিবন্ধী ভাতা পাবার যোগ্য হলেও এখনো পাচ্ছেন না।
×